ইউএনও জাহিদুল ইসলাম কাজ না করেই প্রকল্পের ১০ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন

Picsart_24-07-05_19-16-54-960.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

অপরাধ প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রকল্পের কাজ না করে হাটবাজার রক্ষণাবেক্ষণ খাতের ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন সাবেক ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম। জুন মাসের বার্ষিক হিসাব শেষে চেয়ারম্যানরা এ খবর জানতে পেরে হতবাক হয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে বন্যার ইউএনওর কাছ থেকে ওই টাকা ফেরত আনার দাবি জানান তারা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উপজেলার হাটবাজার রক্ষণাবেক্ষণ খাতের ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার কাগজে কলমে ৪টি প্রকল্প গ্রহণ করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম। প্রকল্পগুলো হচ্ছে, রায়েন্দা ইউনিয়নের রায়েন্দা বাজারের সবজি মার্কেটে টল শেড নির্মাণ বাবদ ৯ লাখ টাকা ও টল শেড (ট্রাসের কাজ) নির্মাণ বাবদ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার দুটি প্রকল্প। এ ছাড়া খোন্তাকাটা ইউনিয়নের খোন্তাকাটা বাজারের ড্রেন নির্মাণ বাবদ ৫ লাখ টাকা এবং সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ি বাজারের ড্রেন নির্মাণ বাবদ ৫ লাখ টাকার পৃথক দুইটি প্রকল্প তৈরি করা হয়।

এরপর ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখের হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে ইউএনও জাহিদুল ইসলাম একাই স্বাক্ষর করে রেজুলেশন তৈরি করে ওই প্রকল্প অনুমোদন দেখান। পরে তিনি প্রকল্পের টাকা সুবিধামতো সময়ে উত্তোলন করেন। এরপর তিনি গত ২ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ শরণখোলা থেকে পাবনার শাঁথিয়া উপজেলায় বদলি হয়ে যান।

এ ব্যাপারে খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, আমার ইউনিয়নে ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের কথা জানতে পেরে তৎকালীন ইউএনও’র কাছে খোঁজখবর নিয়েছিলাম। বিষয়টি জেনে ফেলেছি এ কারণে তিনি আমার ইউনিয়নের প্রকল্পটি পরিবর্তন করে একই তারিখের আরেকটি রেজুলেশন তৈরি করে ধানসাগর ইউনিয়নে অন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দেখিয়েছেন। তবে হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবে ওই রেজুলেশনে আমার কোনো স্বাক্ষর নেই।

সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, আমার ইউনিয়নের তাফালবাড়ি বাজারে ড্রেন নির্মাণের একটি প্রকল্প দেখিয়ে সাবেক ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম ৫ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। অথচ এ ধরনের কোনো কাজ আমার ইউনিয়নে হয়নি। এ ছাড়া হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবে আমি এর কিছুই জানি না।

ধানসাগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, আমার ইউনিয়নের রাজাপুর বাজারের টলশেড মেরামতের নামে দুইটি টল শেডের ঢেউটিন পরিবর্তন করেছে। তাতে সর্বোচ্চ ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। অথচ ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন সাবেক ইউএনও। আমি ওই কমিটির সদস্য হয়ে এর কিছুই জানি না। তদন্ত করে ইউএনও’র কাছ থেকে ওই টাকা ফেরত আনার দাবি জানান তিনি।

রাজাপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম কবির তালুকদার বলেন, দুইটি শেডে ২২ মিলি মিটারের মাত্র ১০ বান্ডিল টিন লাগিয়ে তিনি ৫ লাখ টাকা হজম করেছেন। অথচ টলশেড দুটি এখনও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

ধানসাগর, খোন্তাকাটা ও সাউথখালীর সংশ্লিষ্ট তিন চেয়ারম্যান জানান, উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করলে তা উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে প্রাক্কলন তৈরি করতে হয়। এ ছাড়া ওই খাতের অর্থে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সব সময় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। কিন্তু সাবেক ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম টাকা আত্মসাৎ করতে কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেননি। অনিক এন্টারপ্রাইজ নামের একজন ঠিকাদারের চেক ব্যবহার করে সাউথখালী ও ধানসাগর ইউনিয়নের দুইটি প্রকল্পের ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু রায়েন্দা ইউনিয়নের কাজ দু’টি বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি বদিউজ্জামান সোহাগ উদ্বোধন করায় তিনি ওই প্রকল্পের টাকা নিতে পারেননি।

ওই প্রকল্পের টাকা রায়েন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তার কাছে হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছেন। জানতে চাইলে অনিক এন্ট্রারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. অনিক হোসেন গাজী বলেন, উপজেলা হাটবাজার রক্ষণাবেক্ষণ খাতের কোনো কাজ আমি করি নাই। সাবেক ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম আমার কাছ থেকে শুধু চেক চেয়ে নিয়েছিল। ওই চেক নিয়ে তিনি কী করেছেন তা আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা প্রকৌশলী ও হাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. ফেরদৌস আলম বলেন, ওই চার প্রকল্পের তিনি কোনো প্রাক্কলন তৈরি করেননি। এ ছাড়া কীভাবে ইউএনও টাকা উত্তোলন করেছেন তাও তিনি জানেন না।

বর্তমান শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদিপ্ত কুমার সিংহ বলেন, আমি এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি চেয়ারম্যানদের কাছে খোঁজখবর নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।

কারোনা কালিন সময়ে তিনি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার এসি ল্যান্ড ছিলেন। সরকারি অর্থ নছ ছয় করার একাধিক অভিযোগ ছিলো তার বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে তখনকার সময়ের জেলা প্রশাসকও তাকে মৌখিকভাবে সর্তক্য করেন।

আরও সংবাদ পড়ুন।

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব প্রতি বছর দাখিলের নির্দেশ

আরও সংবাদ পড়ুন।

সরকারী কর্মচারী (আচারণ) বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

আরও সংবাদ পড়ুন।

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও সাবেক জেলা জজ সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

আরও সংবাদ পড়ুন।

ইউএনও এবং এসি ল্যান্ড’রা কাউকেই আমলে নিচ্ছেন না; মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত সরকার

আরও সংবাদ পড়ুন।

সাবেক সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায় – কারাগারে দুদকের মামলায়

আরও সংবাদ পড়ুন।

চুক্তি থেকে কবে মুক্তি মিলবে পাঞ্জেরী? ক্ষোভ, দুঃখ ও কষ্টে চাপা পড়েছে জনপ্রশাসন!

আরও সংবাদ পড়ুন।

বরগুনার সাবেক ডিসির নারীর সঙ্গে রাত্রিযাপন – গোপন ভিডিও ভাইরাল

আরও সংবাদ পড়ুন।

ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন – প্রধানমন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top