ভোলায় সদর হাসপাতালে পাঁচ মাস বেতন বন্ধ; ডাক্তারদের কর্মবিরতি ভোগান্তি রোগীদের
ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার সদর ২৫০ শয্যার হাসপাতালের নিয়মিত ডাক্তাররা ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না।
মঙ্গলবার (১৪ফেব্রুয়ারী২০২৩) বেতনের দাবিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সহকারী পরিচালকসহ (সহকারী তত্ত্বাবধায়ক) ১৮ ডাক্তার এক যোগে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন।
বেতন ভাতার দাবিতে কর্মবিরতি করায় সেবা নিতে এসে ফেরত যান রোগীরা। ভোগান্তির শিকার হতে হয় শংকটাপন্ন রোগীদের। হাসপাতালে অচল অবস্থা বিরাজ করছিল। কেন চিকিৎসকদের বেতন বন্ধ এর সঠিক জবাবও নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ৭ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হচ্ছে বলে ২০ বার আশ্বাস দিয়ে এলেও গেল ৫ মাস কোনো সমাধান হয়নি। এসব ডাক্তার রাজস্ব খাত থেকেই বেতন পেয়ে আসছিলেন। বর্তমানে অনলাইনে কোড সিস্টেমে ব্যাংক হিসেবে বেতনের টাকা জমা হওয়ার পর ব্যাংক হিসেব থেকেই বেতনের টাকা তোলার সিস্টেম রয়েছে।
এদিকে অফিস থেকে মাসিক বেতন তোলার জন্য তালিকা সাবমিট করলে হিসেবে আনসাফিসিয়েন্ট ব্যালেন্স দেখায়। ফলে কোনো ডাক্তার ব্যক্তিগতভাবে কোনো টাকা তুলতে পারছেন না।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার লোকমান হাকিম বলেন, বেতনের জন্য এক বছরের চাহিদা দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫০ লাখ। গেল অক্টোবর মাসেই শেষ হয়। ওই মাসে ১৮ জনের মধ্যে ৮ জন বেতন তুলতে পেরেছেন। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেউ বেতন তুলতে পারেননি।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তবে, ২৫০ শয্যার হাসপাতালের নিয়মিত ডাক্তাররা ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না! বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আমরা যোগাযোগ করতে চেয়েছিলাম ভোলা জেলার সিভিল সার্জনের সাথে। ভোলা জেলার এই কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
আরও সংবাদ পড়ুন।
ডেন্টাল কাউন্সিলের ৩ কর্মকর্তা সহ ১৩ জন ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
আরও সংবাদ পড়ুন।
ডিসিদের স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশ – স্বাস্থ্যমন্ত্রী’র
আরও সংবাদ পড়ুন।
জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটে অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্য – দুদকের অভিযান