বড়মানিকা ইউনিয়নে ৩ নং মধ্যবাটামারা সরকারি বিদ্যালয়ে; প্রধান শিক্ষক সহ অনউপস্থিত ৪ শিক্ষক

Picsart_22-06-08_19-03-08-698-scaled.jpg

বড়মানিকা ইউনিয়নে ৩ নং মধ্যবাটামারা সরকারি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সহ অনউপস্থিত ৪ শিক্ষক

সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ৩ নং মধ্যবাটামারা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষকের মধ্যে মাত্র ৩ জন উপস্থিত ছিলেন স্কুলে।

আজ বুধবার দুপুরে স্কুলে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়। স্কুল চলা কালিন সময়ে ছাত্র ছাত্রীরা যথারীতি উপস্থিত থাকলেও সরকারি আদেশ অমান্য করেছেন, প্রধান শিক্ষক সহ আরও ৩ শিক্ষকরা।

প্রধান শিক্ষক আ.জ.ম হারুন রশীদ। তিনি দীর্ঘদিন স্কুলে অনুপস্থিত। স্কুল বাচ্চাদের অভিভাবকদের অভিযোগ তিনি অনেক দিন স্কুলে আসেন না।

এমন চিত্রে স্কুলের বাচ্চাদের অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ এবং ক্ষোভে ফেটে পরছেন। শিক্ষা কর্মকর্তারা উদাসিন, তারা ৩ নং মধ্যবাটামারা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের কোন খোঁজ খবর রাখেন না, এমনই অভিযোগ অভিভাবকদের।

স্কুল চলা কালিন সময়ে স্কুলে শিক্ষক উপস্থিত নেই? এমন প্রশ্নে বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ফোন ফোন করলে, তিনি মুঠোফোনের কল সিরিভ করেন নি।

প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসেন না, স্থানীয় দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল। প্রধান শিক্ষকের সাথে আরও ৩ জন শিক্ষক অনুপস্থিত। কেন অনউপস্থিত? কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি কারো কাছে। স্কুল চলছে কেমন করে? এমন প্রশ্ন অভিভাবকদের।

স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, দিনের পর দিন এই স্কুলের শিক্ষকরা অনউপস্থিত থাকেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না। বরং স্কুলের বিষয়ে অভিযোগ করলে তিনি মারমুখী আচরন করেন।

বড়মানিকা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ৩ নং মধ্যবাটামারা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জাকির কে বিষয়টি জানার জন্য ফোন করলে তিনিও ফোন রিসিভ করেন নি।

স্কুল চলা কালিন সময়ে স্কুলে দীর্ঘ দিন অনুপস্থিত থাকলেও সরকারি পরিপত্রে যে বিধান রয়েছে তাতে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেন উর্ধতন কর্মকর্তারা। কিন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করার কারণেই, প্রধান শিক্ষক সহ আরও তিন শিক্ষকও স্কুল চলা কালিন সময়ে স্কুলে উপস্থিত ছিলেন না।

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের পদচারণায় মুখরিত হোক। শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরুক এমনই প্রত্যাশা অভিভাবকদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top