সুচিকে আরও হুমকি, ক্ষমতা পাকাপোক্ত সেনাবাহিনীর
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করেছে। এছাড়া ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক নেত্রীর বিরুদ্ধে হুমকি, ভয় জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ বুধবার পঞ্চম দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। সৈন্যরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অং সান সুচি’র এনএলডি পার্টির সদরদপ্তরে অভিযান চালিয়ে লন্ডভন্ড করেছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়েছে পুলিশ। তারা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। এতে নেপিদোতে দুইজন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে বলে একজন ডাক্তার নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু এসব বাধা উপেক্ষা করেই বুধবার সকালে বিক্ষোভকারীরা আবার রাস্তায় নামে।
যদিও মঙ্গলবার দেশটির বৃহৎ শহর ইয়াংগুন, মান্দালয় ও নেপিদোসহ আরো কিছু শহরে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ও রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রও নিন্দা জানিয়েছে। মঙ্গলবার দেশটি আবারো মিয়ানমারে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও জেনারেলদের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ মঙ্গলবারের সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বরেল মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর নতুন অবরোধ আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ বলেছে, তারা সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার বিশেষ অধিবেশনে বসবে।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করে।
গত নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। ওইদিন নবনির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় এবং বৈঠক শুরুর প্রাক্কালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।