সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা।
বিশেষ প্রতিনিধিঃ আজ বুধবার ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১০ জুলাই) দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন মামলার বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ জিয়া উদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের স্থায়ী বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোঃ শাহজাহান, একই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সান্ত্রী রায় ওরফে সিমি ও তার স্বামী রনজিৎ চন্দ্র সাহা।
মামলায় ঘটনাস্থল দেখানো হয়, ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) শুলশান শাখা ও প্রধান কার্যালয়। ঘটনার সময় দেখানো হয়েছে ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর।
দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন
মামলাটি দায়ের করেছেন, দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২), (৩) ধারা মোতাবেক।
গত ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান সেই সময়ের প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। তিনি বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে ওই সময় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
মামলার বিষয়ে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কথা বলেন সংস্থাটির সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত। সাবেক প্রধান বিচারপতি বিদেশে অবস্থান করছেন। তাকে দেশে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের দেশের আইনে সব ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার ক্ষেত্রেও সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে দুদকের অনুসন্ধানে ফারমার্স ব্যাংকের দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক। মামলার আসামি শাহজাহান ও নিরঞ্জন ওই ঋণের টাকা নিয়েছিলেন। ঋণের সেই টাকা বিচারপতি সিনহার ব্যাংক হিসাবে যোগ হয়। টাকার উৎস হিসেবে বাড়ি বিক্রির কথা হিসাবে উল্লেখ করা হয়।