অ্যান্টার্কটিকার পথে ৭ – মহসিনুল হক

Picsart_24-12-12_21-29-04-385.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

অ্যান্টার্কটিকার পথে ৭ – ছবি ও লেখক: মহসিনুল হক

সাউথ জর্জিয়া দ্বীপে নেমে
দেখা মিলেছে
সেখানকার অধিবাসী
হাজার হাজার পেঙ্গুইন,শীল, পেট্রলসহ
হরেক প্রজাতির পাখি
এছাড়া সাউথ জর্জিয়া দ্বীপের
মনোরম পরিবেশ কিছু বলা প্রয়োজন

সাউথ জর্জিয়া দ্বীপ এর ইতিহাস:
মূলত সীল শিকার, তেল খনন
এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার কারণে
এই দ্বীপে মানুষের আগমন শুরু হয়েছে।
এই দ্বীপের কঠিন আবহাওয়া
ও ভূপ্রকৃতির কারণে
এখানে স্থায়ী বসতি গড়ে ওঠেনি।

আবিষ্কার: ১৭৭৫ সালে ব্রিটিশ নাবিক
জেমস কুক এই দ্বীপ আবিষ্কার করেন।
সীল শিকার: ১৯ শতকের শুরুতে
এই দ্বীপে সীল শিকার শুরু হয়।
হাজার হাজার সীলকে নিধন করা হচ্ছে
সেই সময় থেকে।
যার ফলে সীলের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে।

তেল খনন: ২০ শতকের শুরুতে এই দ্বীপে তেল খননের চেষ্টা করা হয়, কিন্তু তা সফল হয়নি।

বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও সংরক্ষণ
বৈজ্ঞানিক গবেষণা: ২০ শতকের
মাঝামাঝি থেকে এই দ্বীপে
বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু হয়।
বিশেষ করে জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করা হয়।

সংরক্ষণ: সীল শিকার ও তেল খননের ফলে
দ্বীপের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায়
১৯৮৫ সালে এই দ্বীপকে
সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়।

বর্তমান অবস্থা
বসতি: বর্তমানে দ্বীপে স্থায়ী বসতি নেই।
শুধুমাত্র গবেষণা কেন্দ্রে বিজ্ঞানী এবং
সাময়িকভাবে পর্যটকরা থাকেন।
পর্যটন: দ্বীপের সৌন্দর্য ও বন্যপ্রাণীর জন্য
এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান।

চ্যালেঞ্জ: জলবায়ু পরিবর্তন এই দ্বীপের
পরিবেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি
এবং হিমবাহ গলার ফলে
দ্বীপের ভূপ্রকৃতি পরিবর্তিত হচ্ছে।

শেষ কথা:
সাউথ জর্জিয়া দ্বীপের ইতিহাস
মানুষের প্রকৃতির উপর প্রভাব
এবং সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে
আমাদের অনেক কিছু শেখায়।
এই দ্বীপের সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য
রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top