নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় পরিণত

Picsart_24-10-23_11-30-51-941.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় পরিণত 

আবহাওয়া প্রতিবেদকঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ক্রমান্বয়ে শক্তি সঞ্চয় করে গতকাল গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় রূপ পরিগ্রহ করেছে। গতকাল রাতে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ উঠছিল ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড় ডানা ওড়িশা রাজ্যের পুরী ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের মধ্যবর্তী উপকূলের ওপর দিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর থেকে ২৫ অক্টোবর দুপুর ১২টার মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থল ভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। 

সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড় ডানা এর বাংলাদেশের স্থল ভাগে আঘাত করার আশঙ্কা কিছু কমে গেছে। ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী এম শর্মা জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপটি গতকাল গভীর রাতের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এরপর এটি ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে অতি প্রবল ঝড়ে রূপ নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার উপকূলের কাছাকাছি আসতে পারে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার ভোররাতের মধ্যে এটি ওড়িশার পুরী ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের মাঝ দিয়ে উপকূলে উঠে আসতে পারে। এতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সুন্দরবন ও আশপাশের এলাকায় পড়তে পারে। 

বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬০ কি.মি. দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। ঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। 

এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ নম্বর (দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় যখন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করবে তখন এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top