সচিবালয়ে ডিসি নিয়োগ নিয়ে হাতাহাতি-মারামারি: ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ করেছে।
অপরাধ প্রতিবেদকঃ প্রশাসনের ১৭ জন উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ করেছে ডিসি নিয়োগ নিয়ে হট্টগোল বিষয়ে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি।
সরকারের এই ১৭ জন উপসচিব সম্প্রতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা করায় কমিটি এই সুপারিশ করেছে।
আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান এ কথা জানান।
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী গুরু এবং লঘুদণ্ড দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর আমাদের মন্ত্রণালয়ে একটি আনরেস্ট (অসন্তোষ) হয়েছিল। সেটার জন্য এক সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এটার প্রধান ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ। তার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, সাক্ষী-প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ১৭ জনকে তিনি (আকমল হোসেন) জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তিনটি পর্যায়ে তিনি সাজেস্ট করেছেন কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। আটজনের বিষয়ে বলা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে গুরুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। চারজনের বিষয়ে বলা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে বিধি-বিধান অনুযায়ী লঘুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। আর পাঁচজনের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তাদের শাস্তি তিরস্কার দেওয়া যেতে পারে। তাদের সাবধান করা, যেন ভবিষ্যতে এমনটি না করেন।
কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতি ও মানুষ জানতে চায়। আমি ডিসি হতে পারিনি, সেজন্যই এরকম একটা আন্দোলন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে, এটা কেউ ভালোভাবে নেয়নি। আমাদের সিনিয়র কলিগরা নেয়নি, কলিগরা নেয়নি, আমাদের জুনিয়র কলিগরা নেয়নি। সর্বোপরি আপনারা নেননি এবং সত্যি কথা বলতে কি জনগণও ভালোভাবে নেয়নি।
সিনিয়র সচিব বলেন, অনেকে বলছেন এগুলো যদি কঠোর হস্তে দমন না করেন, ব্যবস্থা না নেন, আমাদের প্রশাসন ভেঙে পড়বে, শৃঙ্খলা থাকবে না। প্রশাসনের একটি বড় দিক হলো শৃঙ্খলা। শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় যা যা করার তাই করা হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন।
মোখলেস উর রহমান বলেন, একজন যুগ্ম সচিব ছিলেন, তাকে এরই মধ্যে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার করে বদলি করা হয়েছে। উনি কিছু ওভার অ্যাক্ট করেছিলেন, এজন্য সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা অ্যাক্ট করবো, ওভার অ্যাক্ট করতে পারি না।
তিরি বলেন, ১৭ জনের সবাই উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এ কর্মকর্তাদের কারও নাম জানার দরকার নেই।
ডিসি পদে নিয়োগপ্রত্যাশী উপসচিব পদমর্যাদার ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা গত ১০ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে প্রায় হাতাহাতি – মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়ান জুনিয়ররা।
এছাড়াও কর্মকর্তাদের আচরণ ছিল আইন বিরুদ্ধ। যা অপরাধ হিসাবে বিবেচিত।
গুরুদণ্ড দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে নুরজাহান খানম, মো. নুরুল করিম ভূঁইয়া, মো. জসিম উদ্দিন, রেবেকা খান, মো. সাইফুল হাসান, মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, নুরুল হাফিজ এবং মোতাকাব্বীর আহমেকে।
লঘুদণ্ডের সুপারিশ থাকা চার কর্মকতা হলেন, হাসান হাবীব, মো. আ. কুদদূস, আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম নজরুল।
অন্যদিকে শাস্তি হিসেবে ‘তিরস্কার’ করার সুপারিশ থাকা পাঁচ জন হলেন মো. সগীর হোসেন, মো. মুনিরুজ্জামান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. হেমায়েত উদ্দীন, মো. তোফায়েল হোসেন। ‘তিরস্কার’ লঘুদণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে কম মাত্রার দণ্ড।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
দূর্নীতি ও অনিয়ম করে এখনও বহাল তবিয়তে সচিবরা! কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ?
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
সাবেক খাদ্য সচিব বরুণ দেব মিত্রের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দ