সাবেক খাদ্য সচিব বরুণ দেব মিত্রের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল সম্পদ জব্দ
অপরাধ প্রতিবেদকঃ যুক্তরাষ্ট্রের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের আওতায় এসব সম্পদ জব্দ করা হয়। একই প্রক্রিয়ায় আরও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি সাবেক আমলা ও ব্যবসায়ীর সম্পদ জব্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
বরুণ দেব মিত্র ১৯৮২ ব্যাচের বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা। ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে উত্তর আমেরিকাই আবাস গাড়েন তিনি। কখনো নিউইয়র্কে আবার কখনো কানাডার টরন্টোতে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী সেদেশে থাকা বরুণ দেব মিত্রের সম্পদের পরিমান কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকা।
স্বেচ্ছা অবসরের পর সাবেক খাদ্য সচিব বরুণ পেনশনের টাকা উত্তোলনের আবেদনে নিজেকে অর্থকষ্টে থাকা গরীব অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন।
তবে বরুণের স্ত্রী রাখি মিত্রের নামে নিউইয়র্কে তিনটি বাড়ি আর কানাডায় দুটি বাড়ির সন্ধান পাওয়া যায়। ২ মিলিয়ন ডলার নগদ পরিশোধ করে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা এবং ফরেস্ট হিলে তিনটি বাড়ী কিনেছিলেন। আর কানাডার টরেন্টোতে ৩ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার দিয়ে কিনেছেন দুটি বাড়ি। নিউইয়র্কের তিনটি বাড়িই জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।
বরুণ দেব মিত্র ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের ৮৭-৩০/১৬৯ স্ট্রিট কুইন্স ঠিকানায় জনৈক নাসির আলী খান পলের কাছ থেকে প্রথম বাড়ীটি কেনেন। ৭৬ লাখ ডলার ব্যয়ে নগদ মুদ্রায় ওই বাড়ি কেনেন তিনি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
নিউইয়র্কের ৮৫-২৭/১৬৮ প্লেস, জ্যামাইকায় একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় বাড়ী কেনেন ৭ লাখ ৮৫ হাজার ডলার দিয়ে। ওই অর্থও নগদে পরিশোধ করা হয়।
২০১৮ সালের ১২ জুন নিউইয়র্কের ১১৩/৮১ এভিনিউ কিউ গার্ডেনস ঠিকানার তৃতীয় বাড়ী কেনেন। ইয়েলেনা সেডিনার কাছ থেকে বরুণ দেব মিত্র বাড়িটি কেনেন ৭ লাখ ৭৫ হাজার ডলারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কানাডাতেও বিপুল ব্যয়ে বাড়ি কিনেছেন সাবেক এই খাদ্য সচিব। ২০১৭ সালের নভেম্বরে অবসর গ্রহনের মাত্র দুমাস পর কানাডার টরেন্টোতে কেনেন ১৪ লাখ কানাডিয়ান ডলারে একটি বাড়ি কেনেন তিনি। সবশেষ ২০১৯ সালে টরেন্টোতেই ৯ লাখ কানাডিয়ান ডলার দিয়ে কিনেছেন আরো একটি বাড়ি কিনেছেন বরুণ দেব মিত্র।
হবিগঞ্জে জন্ম নেওয়া সাবেক আমলা বরুণ দেব মিত্র বিডি মিত্র নামেও পরিচিত ছিলেন সহকর্মীদের কাছে। চাকরি জীবনে যেখানেই গেছেন সেখানেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে।
সচিব থাকা অবস্থায় ২০১২ সালে নিম্নতম পদে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে ইকোনমিক মিনিষ্টার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি।
দুর্নীতির নানা অভিযোগের পরও তিনি সচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পেয়েছেন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
সরকারি কর্মকর্তারাই মানছে না সরকারি আইন;অনৈতিক সুবিধা নিতে একস্থান বহুবছর
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
অতিরিক্ত সচিব নিতিশ চন্দ্র সরকার মেডিকেল কলেজে ভর্তির নামে প্রতারণায় জড়িত