ভোলায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খানের অনিয়ম ও দুর্নীতির শেষ কোথায়?

Picsart_24-09-19_11-11-06-564.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

ভোলায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খান। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সকালে তার নিজ কার্যালয় থেকে ছবিটি তুলেছেন এই প্রতিবেদক।

সাগর চৌধুরীঃ চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনি। লম্বা জামা, মাথায় টুপি, মুখে সফেদ দাড়ি রাখলেই যে ইসলাম ধর্মের অনুসারী হওয়া যায় না, তা আবারও প্রমান করলেন, ভোলায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খান।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খান ভোলায় মাত্র কয়েক মাস আগেই যোগদান করেছেন। ভোলায় যোগদান করেই অনিয়ম ও দূনীতি’র দোকান খুলে বসেছেন।

তিনি প্রশিক্ষণের নামে অর্থ আত্মসাৎ এবং দপ্তরের বিভিন্ন খাত থেকে দুর্নীতির করেছেন।

গোপন সূত্রে জানা যায়, সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এর সাথে আতাত করে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে তিনি ভোলা জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদ লাভ করেন।

তিনি নামে বেনামে ঠিকাদারের লাইসেন্স দিয়ে নিজ দপ্তরের ভবন ও স্থাপনা নির্মাণ খাতের বরাদ্দের কাজ না করেই তুলে নিয়েছেন। যা সরকারি চাকুরী বিধিমালায় অপরাধ। এই কাজে তাকে পূর্ন সহযোগীতা করেন, ভোলা জেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা নোমান মাহমুদ। কারণ, নোমান মাহমুদকে ঘুষ দিলেই তিনি বিল ভাউচার সই করে ছাড় করে দিয়েছেন।

এছাড়াও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ বরাদ্দকৃত অর্থ প্রশিক্ষণ না করিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেন, সরকারের অর্থ আত্মসাৎ দন্ডনীয় অপরাধ। তিনি বিভিন্ন উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পলন কালে গাড়ির গেরেজ নির্মাণ করার বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন।

সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ অর্থ কাজ না করে বিল উত্তোলন করেন। এক্ষেত্রে ঘুষের বিনিময়ে সহযোগিতা করেন, ভোলা জেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা নোমান মাহমুদ। চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।

এই প্রতিবেদক ভোলা সদরের যুগীরকোল তার অফিসে গেলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খান বলেন, গত ডিসেম্বরে ২০২৩-তে আমি ভোলায় যোগদান করি।

ভোলা জেলার স্থানীয় খামারীদের অভিযোগ, তিনি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও তার অফিসিয়াল বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনার বিল দেখিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খান, ৭ উপজেলার প্রশিক্ষণে না গিয়েই বিল ভাউচারে সই করে টাকা তুলে নেন। এই জেলায় একাধিক কর্মকর্তা থাকার পরেও তিনি একাই ৬ টি পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। জেলা কর্মকর্তা হিসাবে তিনি নজির সৃষ্টি করেছেন। এমন জেলা কর্মকর্তাকে তার কাজে পুরস্কৃত না করে খামারিরা অনিয়ম ও দূর্নীতিবাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

জেলা কর্মকর্তা হয়ে বিভিন্ন উপজেলায় যোগদান করে,সেই সকল উপজেলায় অনিয়ম ও দূর্নীতি করে, সকল পদের সকল মধু তিনি একাই ভোগ করেছেন। জেলা কর্মকর্তা হয়ে উপজেলা কর্মকর্তার পদের মধু খেতে তার লজ্জা হয় নি। কারণ অনিয়মকেই তিনি নিয়মে পরিনত করেন।

স্থানীয়রা জানান, কোন জেলা প্রশাসককে উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে না দেখলেও এই নিঃলজ্জ জেলা কর্মকর্তাকে উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন। অথছ, পাশের উপজেলায় উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় নি।

এই সব বিষয়ে এই প্রতিবেদক ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খান’কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমাদের তিন উপজেলার কাজ হয়েছে। এক উপজেলার কাজ চলমান রয়েছে, ব্যস্ততার কারণে বাকি তিন উপজেলার কাজ সময়মতো করতে পারিনি। জুনে মেয়াদ শেষ হওয়াতে প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা তুলে আমার কাছে রেখেছি, শীঘ্রই বাকি উপজেলার কাজ শুরু করব।

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, যে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সে টাকায় কাজ করাটা খুবই কষ্টদায়ক। ঠিকাদাররা এই টাকায় কাজ করতে চাচ্ছে না, তাই অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

কাজ শেষে সরকারি টাকা তোলার নিয়ম থাকলেও আপনি কাজ না করে সেই সরকারি টাকা টাকা তুলে আপনার কাছে রাখতে পারেন ? সরকারি চাকুরী বিধিমালায় কি বলে?

তিনি হাস্যউজ্বল মুখে বলেন, সব কাজে সরকারি আইন মেনে চলা যায়?

অভিযোগ কারী খামারিরা বলেন, আমরা এরকম দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা চাই না, তার অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে দুদকে অভিযোগ করব।

অভিযোগ কারীরা আরও জানান, বিভিন্ন উপজেলায় যোগদান করে তিনি মধু খেয়েছেন। সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সবাইকে দেখিয়েছেন তিনি নামাজি আর ভেতরে ভেতরে মস্ত বড় একটা চোর। দেশের ও জনগণের অর্থ লুন্ঠন কারী।

ভেটেনারী ক্লিনিকের কাজ হচ্ছে স্ব স্ব উপজেলার খামারীদের সেবা দেয়া, এটি কোন সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাবহার করার জন্য না, তেল খরচ, সার্ভিস খরচ সরকার বহন করে।

কিন্তু দেখা যায় জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা লালমোহন উপজেলার দায়িত্ব নেওয়ার পরে খামারিদের সেবার জন্য মোবাইল ভ্যাটেনারী ক্লিনিক (mvc) গাড়িটি তিনি নিজেই ভোলা সদরে রেখে ব্যবহার করেন। যাবতীয় খরচ সরকার বহন করছে।

ভোলায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খান এর গাড়িটি গ্যারেজে পড়ে আছে দীর্ঘদিন, গাড়িটি চালানো হয় না, কিন্তু সেই গাড়ির তেল,সহ যাবতীয় খরচ উত্তোলন করেন তিনি। ঘুসের বিনিময়ে সহযোগীতা করেন, ভোলা জেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা নোমান মাহমুদ।

গাড়ির বিষয়ে প্রশ্ন করলে, চুপ থাকেন তিনি।

অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খান’কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আগের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা’র বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল। তিনি এখন কুষ্টিয়াতে চাকরি করেছেন।

এ বিষয় জানতে বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো: লুৎফর রহমান’কে ফোন করে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।

আরও সংবাদ পড়ুন।

ভোলা জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ এর অনিয়ম ও দূর্নীতি

আরও সংবাদ পড়ুন।

চরফ্যাশনে সার্টিফিকেট ছাড়াই ডাক্তার! একই কর্মস্থলে ১০ বছর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top