চরফ্যাশনে সার্টিফিকেট ছাড়াই ডাক্তার! একই কর্মস্থলে ১০ বছর
উপজেলা প্রতিবেদকঃ ডাক্তার পদবী ব্যবহার করার মত যথাযথ রেজিস্ট্রেশন এবং সংশ্লিষ্ট ডিগ্রি না থাকলেও নামের আগে ব্যবহার করেন ডাক্তার পদবী।
অন্যদিকে ভেটেনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ভিএফএ) হিসেবে একই কর্মস্থলে চাকরি করছেন প্রায় এক যুগ ধরে। এছাড়া যত্রতত্র কোন অনুমোদন ছাড়াই চেম্বার খুলে সাইনবোর্ড লাগাচ্ছেন প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্র। এছাড়াও ভিএফএ পদে কর্মরত থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার চোখের সামনেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে নিজের পদবী ব্যবহার করছেন উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(সম্প্রসারণ)।
এমনই নানা অভিযোগ উঠেছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা ভেটেনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ভিএফএ) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। এছাড়া চরফ্যাশনের শশীভূষণ বাজারে তার চেম্বারের সামনে দেখা মেলে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করা সাইনবোর্ড। এভাবেই নিজেকে ডাক্তার দাবি করে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে উপজেলার নানা জায়গায় প্রাণীর চিকিৎসা দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন। তবে নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নানাভাবে খুশি করে বছরের পর বছর সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করে প্রায় ১০ বছর চাকরি করছেন এই কর্মস্থলে। যেখানে বিধিমালা বলছে একই কর্মস্থলে চাকরি করা যাবে না তিন বছরের বেশি সময়।
এসব বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত ভেটেনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ভিএফএ) মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি প্রথমে বলেন আমি মাত্র আড়াই বছর এখানে চাকরি করছি। তবে তিনি দশ বছর কর্মরত আছেন এরকম প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে যান। এছাড়া তিনি বলেন আমি কিছু জানি না আপনি কিছু জানতে চাইলে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আমার বিষয়ে কথা বলেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রহমত উল্লাহ জানান, আমি সাত মাস চরফ্যাশনে কর্মরত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এমন কোন অভিযোগ পাইনি।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসিয়াল মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে রিসিভ না করায় সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল এর সাথে এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলে তিনি জানান, কোনভাবেই ডাক্তার পদবী ব্যবহার করার নিয়ম নেই। এ বিষয়ে কিংবা প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্র খোলার অভিযোগের বিষয়ে বলেন, উপকেন্দ্র সাইনবোর্ড তিনি লাগিয়েছেন কিনা অথবা যেখানে চেম্বার করেন তারা এমনটা করেছেন কিনা সকল বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া একই কর্মস্থলে দশ বছর কিভাবে কর্মরত রয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমাদের পুরো জেলায় ৫০ শতাংশ লোকবল নিয়ে আমরা কাজ করছি। লোকবল সংকট থাকার কারণে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কিংবা কোন সমস্যা না হলে বদলি হয় না। তাছাড়া এ বদলি প্রক্রিয়াটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ করে থাকেন। তবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ কিংবা কোনো নিয়ম প্রমাণিত হলে সেক্ষেত্রে বদলি করা হয়।
আরও সংবাদ পড়ুন।