যুদ্ধে নয়, জলবায়ু পরিবর্তনে অর্থ ব্যয়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী’র

Picsart_24-04-22_13-58-03-628.jpg

বিশেষ প্রতিবেদকঃ যুদ্ধে অর্থ ব্যয় না করে জলবায়ু পরিবর্তনে অর্থ ব্যয়ের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার (২২ এপ্রিল ২০২৪) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ন্যাপ এক্সপো ও বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, যুদ্ধে অস্ত্র ও অর্থ ব্যয় না করে সেই টাকা জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য প্রয়োজন অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে আমাদের অবদান শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশের কম হলেও এর নেতিবাচক প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের এ বিরূপ প্রভাব সম্ভাব্য উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। অব্যাহত বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল (মোট আয়তনের প্রায় ১২ থেকে ১৭ শতাংশ) এ শতাব্দীর শেষ দিকে সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে। আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে- প্রধান কার্বন-নির্গমনকারী দেশগুলোকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে তাদের নির্গমন হ্রাস করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিলে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে তা সমানভাবে বণ্টন করতে হবে। উন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রযুক্তি স্থানান্তরের পাশাপাশি সবচেয়ে কার্যকর জ্বালানি সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের সময়, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলো তাদের ক্ষতি অনুসারে বিবেচনা করা উচিত বলেও মনে করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী ভাঙন, বন্যা এবং খরার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সকল দেশকে ভাগ করে নিতে হবে এবং প্রধান অর্থনীতিসমূহকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী সকল অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে হবে।

আরও সংবাদ পড়ুন।

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত – প্রধানমন্ত্রী

আরও সংবাদ পড়ুন।

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী’র

আরও সংবাদ পড়ুন।

আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে থাকে – প্রধানমন্ত্রী

আরও সংবাদ পড়ুন।

সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন – প্রধানমন্ত্রী

আরও সংবাদ পড়ুন।

জনগণের সেবা করার মাধ্যমে ভবিষ্যতের ভোট নিশ্চিত করুন – প্রধানমন্ত্রী

আরও সংবাদ পড়ুন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের হস্তক্ষেপ চায় না আওয়ামী লীগ – ওবায়দুল কাদের

আরও সংবাদ পড়ুন।

১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে – প্রধানমন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top