ভিক্ষুক – শাহানা সিরাজী

Picsart_24-01-13_15-14-18-364.jpg

নিদারুণ বাস্তবতা! আমার অদৃশ্য কোন কিছুর উপরই বিশ্বাস হয় না। যুক্তির পর যুক্তিতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ি। মানুষের জন্ম এমনিই হয়নি। কোন মানুষ নিজের ইচ্ছায়ও আসেনি।

একজন নর ও একজন নারীর আনন্দাভিসারেই নতুন কোন প্রাণের জন্ম হয়। সে প্রাণ কী খাবে কী পরবে তা নিশ্চিত তাদেরকেই করতে হবে যারা ডেকে এনেছে। একটা সময় তারা আবার আনন্দাভিসারের উপযুক্ত হয় আবার তারাও আহবান জানায়। এ ভাবেই তো চলে আসছে প্রাণীকূলের জীবন।

তাবৎ প্রাণীকূলের একই নিয়ম হলেও মানুষের নিয়ম ভিন্ন। মানুষ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত আচরণ করতে করতে আজকের অবস্থানে এসেছে। ক্রমাগত ভালো থাকা ভালো খাওয়ার জন্য ফন্দি আঁটতে আঁটতে যতো ছলাকলা শিখেছে। কিন্তু আদি কাজ একই রয়েছে। ক্রমাগত মানুষ বাড়ছেই।

এসব চিন্তায় যখন ফিরদৌস মশগুল তখন ভিক্ষুক এসে হাত বাড়ায়,” আল্লাহরস্তে দান করেন। আল্লায় আপনের ভালো কইরবো!”ফিরদৌস তাকিয়ে থাকে।

ভিক্ষুকের চোখ— মুখে হতাশা। এ একা নয়। রোজ শ খানেক ভিক্ষুকের সাথে তার দেখা হয়। তাদের মুখের দিকে তাকালে দেখা যায় প্রকৃত বাংলাদেশের ছবি। স্টেশনে, বাসে, শপিং মলের সামনে, সুপার শপের সামনে, মসজিদের সামনে হেন কোন জায়গা নেই যেখানে ভিক্ষুক নেই! নারী—পুরুষ নির্বিশেষে লাইন ধরে বসে থাকে, হাত বাড়ায়।

যাদের কাছে হাত বাড়ায় তারা ভিক্ষা দিতে বাধ্য কী? অনেকের পকেটেই অতিরিক্ত টাকা থাকে না। ফলে চলমান মানুষদের বিব্রত হতে হয়। অনেকেই আবার ঝেড়ে কথা বলে কিংবা বলতে বাধ্য হয়।

তেমনি ফিরদৌসও মুখ ঝামটা দেয়, কাজ করে খেতে পারো না? ভিক্ষা সহজ বৃত্তি, কোন ইনভেস্ট ছাড়া কষ্ট ছাড়া আয় করা এ দেশেই সম্ভব! হাত পাতা অত্যন্ত লজ্জার। যাও পথ ছাড়ো বলেই পকেটে হাত। পাঁচটি দশ টাকার নোট পাঁচজনকে দিয়ে বললো,আমার এক দিনের গাড়ি ভাড়া নিয়ে গেলে!

আর দুকদম হাঁটার পর আবারো ভিক্ষুকের দল তাকে ঘিরে ধরেছে। অবস্থা এমন যে পকেটে হাত দেবার উপায় নেই। তাহলে সবাই মিলে তার পকেট ছিঁড়েই ফেলবে। ফিরদৌস রীতিমতো দৌড়ে পালালো। যেখানে গিয়ে দাঁড়ালো সেখানেও একই ভাবে আক্রান্ত হলো। এবার আরো ভয়ানক অবস্থা। বোরখা পরা নারী ভিক্ষুক। খিস্তি খেউর করছে, ওরে দিলেন আমাকে কেন দেবেন না? দেন আমারে বলেই ফিরদাউসের জামা ধরে টানাটানি করছে। একসাথে পাঁচজন তাকে আক্রমণ করে,পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে যা পেলো সবই ভাগাভাগি করে নিয়ে হাওয়া হয়ে গেলো।

ফিরদৌস ঘটনার আকস্মিকতায় স্থির হয়ে গেলো। সে জোর করতে পারলো না কারণ ভিক্ষুক হলেও তারা নারী। না জানি আবার নারী নির্যাতনের মামলা খেতে হয়। তাই নীরবে দংশিত হলো ভিক্ষুকের অভিশাপ দ্বারা!

এ এক অভিশপ্ত জীবন। হাতপাতার লজ্জা কেটে গেলে চুরি,ডাকাতি ঠকবাজি সবই করা সম্ভব। দুর্নীতিবাজ— ঘুষখোর আর এই ভিক্ষুক—এই শ্রেণির মাঝে কোন তফাৎ নেই।

কেউ পলিশ পোশাক পরে ভিক্ষা করে, কেউ মলিন পোশাক পরে ভিক্ষা করে। সমাজে ছদ্মবেশী ভিক্ষুকই অনেক বেশী।

রাস্তা—ঘাট, বিদ্যুৎ, গ্যাস, শিক্ষা—কৃষি সকল সেক্টরই এসব পলিশ পোশাকের ছদ্মবেশী ভিক্ষুকের কবলে হাঁসফাঁস করে মরছে। কে আছে ডুবন্ত লাশ টেনে তুলবে?

ফিরদৌস এসব কথা ভেবে ভেবে ক্লান্ত, অবসন্ন। পকেটের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো, বেটিরা, পাঁচশ টাকা ছিলো মাত্র। সবটাই নিয়ে গেলি! এখন আমিও ভিক্ষুক! চল, তোদের সাথে ভিক্ষা করি। কারণ পকেটে ত্রিশ হাজার টাকা এনেছিলাম। সব পলিশ পোশাকের ভিক্ষুককে দিয়ে এলাম। তবুও যদি আমার হালাল টাকা আমি পাই আর কী! এক বছর হলো অবসরে গিয়েছি এখনো পেনশন পাইনি। ফিরদৌস হো হো করে হেসে উঠলো। আমার এই দেহ হারাম টাকা দিয়েই গড়া! আমি হলাম জাত ভিক্ষুক! এখন আমার চেয়ার নেই তাই ভিক্ষা নিজে এসে ধরা দেবে না, ভিক্ষার জন্য দ্বারে দ্বারে যেতে হবে!

চেয়ার হলো ভিক্ষার চরম উৎস! তখন তো কেবল চোখ তুলে তাকাতাম আর ফাইল আটকে রাখতাম। ভিক্ষা হু হু করে পকেটে ডুকে যেতো! সময়ের ব্যবধানে আমি এখন ভিক্ষা দেয়ার দলে এস দাঁড়িয়েছি। আসতাগফিরুল্লাহ! আল্লাহ সকল প্রকার সগিরা কবিরা গুণাহ মাফ করে দিও!

পেনশন শুরু হলে আল্লাহ তোমার নেয়ামত হজে যাবো। দুনিয়ার নেয়ামত তুমি দিয়েছো — তা মন ভরে খেয়েছি। বাড়ি বানিয়েছি এই কেরানীর চাকুরি করেও। এমন ভিক্ষার জায়গায় তুমি আমার রিজিক দিয়েছো শোকর আলহামদুল্লিাহ!

অনতিদূরে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক দাঁড়িয়ে ফিরদৌসের নাজেহাল অবস্থা দেখছে আর একা একাই হাসছে। ফিরদৌস মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। এ মুহূর্তে সত্যি সে ফকির!

বাড়ি যাবে কী করে? বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলেটি এগিয়ে এলো, তার মুখ থেকে লালা ঝরছে, হাতের আঙুল বাঁকা, পায়ের আঙুল বাঁকা। কনুইয়ের সাথে একটা ব্যাগ ঝোলানো। সে হাঁটতে গেলেই পড়ার আশঙ্কা থাকে। ছেলেটি হাসতে হাসতে এগিয়ে এসে তার ঝোলাটি ফেরদৌসের দিকে এগিয়ে দিলো। ফিরদৌস বেক্কলের মতো তাকিয়ে রইল। মনে হলো পুরো আকাশ তার মাথায় ভেঙে পড়েছে! নির্বোধ অসুস্থ একটা ছেলে আমাকে ভিক্ষা দিতে এলো!

তার ভেতর ভয়ানক ওলট—পালট হয়ে গেলো। হায় আল্লাহ! সারা জীবন মানুষের হালার টাকা ফাইল আটকে হারাম করেছি। মানুষের বিপদকে পুঁজি করে টাকা কামিয়েছি! জীবনের শেষে এসে এক অসহায় প্রতিবন্ধী আমায় শিক্ষা দিরো! আমার শিক্ষা আমার সার্টিফিকেট আমার কোন কাজে আসলো? আমি নাপাকী, গোনাহগার!

আজ যে ভাবে পারি তার একটা মূল্য দিতেই হবে। তাৎক্ষণিক ভাবে কাকে যেন ফোন দিল। বিকাশে টাকা আনলো এবং ছেলেটিকে দশ হাজার টাকা দান করলো। অমনি ছেলেটিকে একদল ভিক্ষুক ফলো করতে লাগলো।

ফিরদৌস চলে গেলো। ছেলেটি টাকা পেয়ে হাসছে। তার গণনা করার সামর্থ নেই। আমি ছেলেটিকে অনুসরণ করলাম। ছেলেটি ধীরে ধীরে মালিবাগ মোড়ে রাস্তার পাশে একটি ঝুপড়ির সামনে এসে দাঁড়ালো। ঝুপড়িটি এখন আর ঝুপড়ির মতো নেই। জাস্ট একটা পুটুলি পাশে পড়ে আছে। তাতে বসে দু’জন কন্যা শিশু।

একজন পাঁচ বছর হবে অন্যজন তিন হতে পারে। দেখলাম ছেলেটিকে দেখে তার বোনেরা দৌড়ে এসে কোলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তিন ভাই বোন মিলে লুটোপুটি, গড়াগড়ি করছে। ছেলেটি হাত দিয়ে ধরতে পারে না। মেয়েগুলোই তার হাত পা ধরে ধরে ঠিক করে দিচ্ছে। এবার তার কনুই থেকে ব্যাগ খুলে নিয়ে খুব হেসে উঠলো।

বড় মেয়েটি বলল, ম্যালা ট্যাহা পাইছ। কনে দিলো? ছেলেটি হাসছে। মেয়েটিও। ‘মা আইলে আইজ গোশত দি ভাত খামু।’ মেয়ে দুটো বেশ কিউট।

পোশাক মলিন হলেও প্রকৃতি প্রদত্ত চেহারা অপূর্ব। ইচ্ছে হলো কোলে নিয়। কিন্তু সামাজিক যে দেয়াল আমি ধারণ করছি সে দেয়ালের জন্য বাড়ানো হাত থামিয়ে শুধু চোখ দিয়ে তাকিয়ে আছি।

চারদিকে অসংখ্য বাস— রিকশা—সিএনজি— মোটর সাইকেল, পিকাপ, হর্ন দিয়ে চলছে। আমি ভাবছি এদের মা বাবা কোথায়? মায়ের কথা শুনলাম। মা আসলে মাংস দিয়ে ভাত খাবে কিন্তু বাবার কথা তো শুনিনি।

ভাই ইশারায় জানতে চাইলো তারা খাবে কিনা? অসুস্থ তবুও সে বড় ভায়ের দায়িত্ব পালনে মরিয়া হয়ে উঠলো। আমি ভাবলাম নিজেই কিনে দিব। পরে চিন্তা করলাম তারা তো আমার কাছে চাচ্ছে না। দেখি কী ভাবে কী করে! ছেলেটি আঁকাবাঁকা পা ফেলে দোকানের দিকে এগিয়ে গেলো।

দু’বোন আবার জড়াজড়ি করে হাসছে। পাশের দোকানের সামনে দাঁড়ালো। দোকানদার ছেলেটিকে দেখেই ডাকলো, কি রে মজনু, খাবি কিছু? তোর মা এসেছে? তিনটা সন্তান জন্ম দিয়ে এক বেয়াদব তোর মা রে খেদাই দিছে। বেডায় ছাওয়াল ফেলে দিতে পারলেও বেডি পারলো না!

দোকানদার স্বগোক্তি করছে আর বলছে, আজ এতো জলদি আইলি যে? তোর মার কাজের টাইম শ্যাষ অইছে, আইয়া পড়বো। নে পাউরুটি খা। তোর বোনেরা কই? সে হাত ইশারায় দেখালো।

তিন ভাই বোন পাউরুটি ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। ভায়ের মুখে দিয়ে দিচ্ছে। আবার ছোট বোনের মুখে দিচ্ছে বড় মেয়েটি। আমি চলে আসলাম। ওখানে আমার দাঁড়াতেও কষ্ট হচ্ছে। চারদিকে ময়লা।

এরই মাঝে ছোট মেয়েটি প্রসাব করে দিয়েছে। তারা একটু নড়ে দূরে গিয়ে বসলো। রিকশায় ওঠার পর কেবল প্রতিবন্ধী ছেলেটির হাসি, তিন ভাই বোনের গড়াগড়ি চোখে ভাসছে। তার টাকাগুলো তার মায়ের হাতে পৌঁছাবে তো!

ভাবতে ভাবতে রিকশা ঘুরিয়ে আবার তাদের কাছে গেলাম। গিয়ে দেখি বড় মেয়েটি হাউমাউ করে কাঁদছে। আর বলছে আমার হাত ছেড়ে দাও। প্রতিবন্ধী ভাইটি সে লোকটির দিকে তেড়ে যাচ্ছে। মুখে কোন শব্দ করতে পারছে না। টানাটানিতে হঠাৎ একটি বাস আসলো গতি নিয়ে। তারা দুজন বাসের চাড়ায় পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। পাজি লোকটি দ্রুত কেটে পড়েছে। এমন সময় তাদের মা ছুটে এসে পাগলের মতো তার সন্তানদের খুঁজছে।

দেখে বড় মেয়েটির হাত রক্তাক্ত বাকী সন্তানগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে আছে। রাস্তায় ভীড় জমে গেছে। বাসটিকে ড্রাইভারসহ লোকজন ধরে ফেলেছে। পুলিশের গাড়ি সাইরেন বাজাতে বাজাতে ঘটনাস্থলে এলো। সেই দোকানদার দৌড়ে এসে বলল, শোন মাজেদা, এই গাড়ির ড্রাইভার তোর জামাই। যে তোরে খেদাইছে!

মাজেদা হকচকিয়ে উঠলো। কী!
হ্যাঁ, ওই দেখ।

মাজেদা দেখলো, তার মদারু স্বামী। সে প্রতি রাতে মাতাল হয়ে এসে তাকে তুলে দিতো তার বখাটে বন্ধুদের হাতে। এ ভাবে তিন সন্তান হলো। কোনটা যে কার মাজেদা নিজেও জানে না। ছোট মেয়ে জন্মের পর সে আর মাতালের সাথে থাকতে চায় না বলায় তাকে আঁতুড় ঘরেই পিটিয়ে বের করে দিয়েছে। যা, বাইরাই যা! এগুলো আমার সন্তান নয়! সেই যে মাজেদা চলে এসেছে আর কোনদিন তাকে দেখেনি। তারপর থেকে মাজুর এক পুত্র সন্তান আর দু কণ্যা সন্তান নিয়ে বাড়ি বাড়ি কাজ করে খাচ্ছে। তার জায়গা বস্তিতেও হয়নি। কারণ সেখানেও ক্ষমতার দাপট আছে। বস্তির নিয়ন্ত্রণ যার দখলে তার কু নজর মাজেদার দিকে।

অনেক কষ্টে ‘নানীরে মা’ডেকে কিছুদিন থাকলেও পরে এই খোলা রাস্তাই তার ঠিকানা।

মাজেদা পুলিশকে বলল, এ হারামীর জন্য আমার সন্তানকে হারিয়েছি আমি এরে শাস্তি দেন।

কাদের মাজেদাকে বলে, আমি তোর স্বামী, এভাবে বলা তোর ঠিক হয়নি। উপস্থিত জনতা হেসে উঠে বললো, স্বামী কারে কয় তুই জানিস নাকি? পুলিশ লাগবে না তোরে আমরাই খাইছি। বলেই গণ ধোলাই শুরু করেছে। মাজেদা কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে পুলিশের পায়ে চেপে ধরে বলে, তাইনেরো বাঁচান!

আবার আমি চলে এলাম। ঝামেলায় জড়াতে চাই না। লাইফকে জটিল করতে চাই না। ঘরে ফিরে স্নানে ঢুকলাম। স্নানঘরের দেয়ালে দেয়ালে তিনটি অবোধ শিশুর হাসি, গড়াগড়ির দৃশ্য ভেসে উঠছে। আমি দুচোখ এক করতে পারছি না। কানে বাজছে, ‘মা আইলে গোশত দিয়া ভাত খামু।’ আবার বাজছে, তাইনেরে বাঁচান! বার বার অনেকবার।

আমি কী পাগল হয়ে যাচ্ছি? মাঝরাতে উঠে আবার সেখানে গেলাম। মাজেদার ঝুপড়ি এখন পাতানো। গাড়ি চলছে বটে দিনের মতো নয়। মাজেদার কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।

মজনু আর মলি নাম দুটো কানে ভেসে আসলো। তারপর শোনা গেলো, তোকে তো বাঁচতে হবে। কাদেরের শাস্তি দেখতে হবে না!

মাজেদার ক্ষীণ কণ্ঠ, তারে শাস্তি না দিলে অয় না!
তুই এখনো তার জন্য কাঁদিস কেন? তারপর নীরবতা। মাজেদার কোন শব্দ শোনা গেলো না। ঝুপড়ি থেকে বেরিয়ে গেল নাদুস-নুদুস এক সাহেব।

আমি সামনে যাবো না পিছে যাবো ভাবতে ভাবতে মসজিদ থেকে আজান ভেসে এলো। একটু পরেই দিনের আলো ফুটবে। খুব কাছে ভোরের পাখি ডেকে উঠলো, ভাবলাম ভিক্ষুকের অভাব নেই! পা বাড়ালাম উল্টো ঘুরেই…


শাহানা সিরাজী
কবি, প্রাবন্ধিক ও কথা সাহিত্যিক।

আরও লেখা পড়ুন।

বাংলাদেশ – শাহানা সিরাজী

আরও লেখা পড়ুন।

ঘুরে এলাম বস্টন হারবার দ্য নিউ ইংল্যান্ড একুরিয়াম – শাহানা সিরাজী

আরও লেখা পড়ুন।

সবারই ধর্মীয় উৎসব পালনের অধিকার – শাহানা সিরাজী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top