ভোলায় বজ্রপাত মোকাবেলায় তালগাছ রোপন কর্মসুচি।

20170829_114352.jpg

স্কুলের বাচ্ছারা তালবীজ রোপনের ব্যানার হাতে।

ভোলা থেকে সাগর চৌধুরীঃ গাছ মানুষের পরম বন্ধু। তালগাছ পরিবেশের উপর প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার দেশের সব জেলা উপজেলায় তালগাছ রোপনের ভিবিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দ্বীপ জেলা ভোলায় এরই ধারা বাহিকতায় তালগাছ বীজ রোপন করা হচ্ছে।

ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পদ্মামানসা স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রবীর কুমার দে বলেন, তালগাছ আমাদের কেন প্রয়োজন এই সব বিষয়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে কথা বলেন কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওমর ফারুক। তাছাড়া তালগাছ রোপনের সময় বাচ্চারাও সাথে ছিল।

বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ইতোমধ্যে ভিবিন্ন ইউনিয়নে তালবীজ রোপন শুরু করেছেন কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওমর ফারুক। তিনি বলেন, প্রশান্ত কুমার সাহা স্যারের দিক নির্দেশনায় এই উপজেলায় প্রায় দুই হাজরের মত তালবীজ রোপন করেছি। আমরা আরো বীজ সংগ্রহ করেছি। সেগুলো রোপন করব।

তালবীজ রোপন করছেন উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ ওমর ফারুক।

ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা প্রায় দু`‍‌শোর মত তাল বীজ রোপন  করেছি। ইচ্ছে আছে আরো বড় পরিসরে তালগাছ বীজ রোপন করব।

চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, তালবীজ ইতোমধ্যে আমরা লাগিয়েছি। আরো লাগানোর জন্য সবাইকে বলেছি।

জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক, কৃষিবিদ প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, আমরা প্রতিটি থানায় ২হাজার তালবীজ লাগানোর চেষ্ঠা করেছি। ৭টি উপজেলায় ১৪ হাজার।  কিন্তু এরই মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার তালবীজ রোপনের লক্ষ আমাদের আছে।

তিনি আরো বলেন , এই তালবীজ বপনের জন্য সরকারী কোন বরাদ্ধ নেই।

তালগাছের উপর বজ্রপাতের কারনেই মানুষ মিত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেত। কিন্তু তালগাছের সংখ্যা কমে যাওয়ার জন্যই বজ্রপাতে মানুষের প্রানহানি হচ্ছে।

ভোলা সরকারী কলেজের মৃত্তিকা ভিবাগের অধ্যাপক শফিক বলেন, তালগাছ রোপন না করলে সামনের দিনগুলোতে বজ্রপাতে আরো অধিক মানুষ মারা যাবে। এখনই আমাদের সচেতন হওয়া জরুরী।

এই বিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক মুহাং সেলিম বলেন, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। সরকারী ও বেসরকারী উদ্যেগে তালগাছ রোপন আমাদের একান্ত প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top