মির্জা ফখরুলের হুঁশিয়ারি

Picsart_23-07-30_09-01-18-536.jpg

মির্জা ফখরুলের হুঁশিয়ারি

বিশেষ প্রতিবেদনঃ পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সরকারের অন্যায় নির্দেশ মানবেন না। 

তিনি বলেন, আপনারা সবাই এ দেশের মঙ্গল চান, আপনারা এই দেশের কল্যাণ চান। আপনারা শপথ নিয়েছেন যে, এ দেশের স্বার্থে সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবেন। আমরাও আপনাদের কাছে সেটাই চাই। আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই সমাবেশ থেকে গ্রেফতার বন্ধ করুন, বেআইনি গ্রেফতার বন্ধ করুন, হয়রানি বন্ধ করুন এবং যারা কারাগারে আছে তাদের ছেড়ে দিন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। প্রশাসন এ কর্মসূচি পালন করতে দিয়ে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে। সরকার সহযোগিতা করবে। গত দুদিনে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবে গণগ্রেফতার করে লাভ হবে না। গণতান্ত্রিক আন্দোলন থামানো যাবে না। 

শুক্রবার নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। 

সরকার নির্বাচনব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। নেত্রকোনায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই ছিল না। মানুষ এখন আর ভোট দিতে যায় না। তাই পুলিশ, প্রশাসনসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যেনতেনভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। 

মির্জা ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা দলও ঘোষণা দিয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। বিদেশিরাও বলেছে, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। মার্কিন ১৩ কংগ্রেসম্যান সুষ্ঠু নির্বাচনে জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছে। তাই এদের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। 

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরা লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা করে দিয়েছে। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষ স্বাভাবিক জীবন ধারণ করতে পারছে না। তার অভিযোগ, বিচারব্যবস্থাও দলীয়করণ করেছে। মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও ঢাকা ছাড়া দেশের কোথাও বিদ্যুৎ থাকে না। কুইক রেন্টালসহ মেগা প্রজেক্টের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার তথ্য তুলে ধরে বলেন, এ সরকারের আমলে দেশ থেকে ১০০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। 

দাবি আদায় করে ঘরে ফেরার ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনে থাকা দলগুলো নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে। এরপর আমাদের ঘোষিত ৩১ দফার ভিত্তিতে পরিচালনা করা হবে দেশ। যুবকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেকারদের ভাতা এবং উচ্চ শিক্ষার্থে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে।

আরও সংবাদ পড়ুন।

বিএনপি – সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে বার্তা দিল

আরও সংবাদ পড়ুন।

ইইউ প্রতিনিধিদলের বৈঠকে বিএনপির সঙ্গে যেসব আলোচনা হলো

আরও সংবাদ পড়ুন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top