বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সুপারিশ প্রাপ্ত ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন
বিশেষ প্রতিবেদকঃ দীর্ঘদিন পর অবশেষে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সুপারিশ পাওয়া ৩২ হাজারের বেশি শিক্ষক।
এ নিয়োগ চূড়ান্ত হতে পারে চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী আগস্ট মাসের শুরুতে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
গত ১২ মার্চ শিক্ষক নিয়োগে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে ৩২ হাজার ৪৩৮ প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়।
এনটিআরসিএর সূত্র জানায়, পুলিশ ভেরিফিকেশন চলা অবস্থায় নিয়োগ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে চলতি মাসের শেষে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
গণমাধ্যমে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মতো পুলিশ ভেরিফিকেশন চলা অবস্থায় চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে চলতি মাসে অথবা আগামী মাসের শুরুতে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হবে।
সচিব আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পেয়েছি। আর এখন প্রার্থীদের সনদ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। খুব শিগগির ভেরিফিকেশন ফরমগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
এদিকে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগে ধীরগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা বলছেন, নিয়োগে দেরি হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা অনিশ্চয়তায় জীবন পার করছেন। একই সঙ্গে শিক্ষকসংকটে স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক মো. সান্ত আলী বলেন,‘নিয়োগে ধীরগতিতে ৩২ হাজার চাকরিপ্রার্থী অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। তাই শিক্ষকের নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষকসংকটে স্বাভাবিক পাঠদানই ব্যাহত হচ্ছে।’একই কথা বলেছেন সুপারিশ পাওয়া ইমরুল শেখ। তিনি বলেন, ‘চার মাস আগে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছি। কবে নিয়োগ হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি। দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৬৮ হাজার ৩৯০টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
বিজ্ঞপ্তিটি ‘চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি’ নামে পরিচিত। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে ৩১ হাজার ৫০৮টি এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজার ৮৮২টি পদ ছিল। সব কটি পদই এমপিওভুক্ত।
চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগে বেশ কিছু পরিবর্তন আনে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে রয়েছে অনলাইনে আবেদন করার পদ্ধতিও সহজ করা। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করা। এ ছাড়া আবেদনের নিচে ‘পছন্দের ৪০টি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পেলে মেধার ভিত্তিতে যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পান, তাহলে যোগ দেবেন কি না?’ সেখানে প্রার্থী ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বাছাই করার সুযোগও দেওয়া হয়।
এর আগে ২০২১ সালের ৩০ মার্চ তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে শূন্য পদ ছিল ৫৪ হাজার ৩০৪টি। ওই বিজ্ঞপ্তির আওতায় ফল প্রকাশ হয় গত বছরের ১৫ জুলাই। সেখান থেকে ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
দুই বারের বেশি সভাপতি হওয়া যাবে না; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবিধানমালা-২০২৩
আরও সংবাদ পড়ুন।
নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানো যাবে না; কোচিং করালে নিতে হবে নিবন্ধন
আরও সংবাদ পড়ুন।
অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ডুবছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর – দুদকে মামলা ও তলব