দুবাইয়ের ৪৫৯ জন বাংলাদেশী’র বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

Picsart_22-10-24_18-45-10-348.jpg

দুবাইয়ের ৪৫৯ জন বাংলাদেশী’র বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

 

অপরাধ প্রতিবেদকঃ নানা রকম জল্পনাকল্পনার পর
দুবাইয়ে অবস্থানরত ৪৫৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকের সম্পদ ক্রয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করে আনুষ্ঠানিক ভাবে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। 

৪৫৯ জন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ মূলধন সুইচ ব্যাংকসহ বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে পাচার করেন। পরবর্তীতে সেটা দুবাইয়ে স্থানান্তর করে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের গোল্ডেন ভিসা সুবিধায় ১৭২টি প্রোপার্টি কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন উপ-পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল, মো. আহসান উদ্দিন এবং মো. ইসমাইল হোসেনের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। 
গত ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাসের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে দুবাইতে অবস্থানরত ৪৫৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকের সম্পদ ক্রয়ের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফইউজে) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছেন।

দুবাইয়ে বসবাসকারীসহ বিভিন্ন সূত্রের অনানুষ্ঠানিক ভাবে জানানো তথ্য অনুযায়ী, ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির পরিসংখ্যানটি করা হয়েছে সি৪এডিএসের ২০২০ সালের তথ্য নিয়ে। এরপর গত দুই বছরে দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের প্রপার্টি ক্রয়ের প্রবণতা আরও ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন বাংলাদেশিরা, যার তথ্য তারা দেশে পুরোপুরি গোপন করেছেন। 

বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের গোপনে কেনা সম্পদের অর্থমূল্য এখন কম করে হলেও এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বৈশ্বিক অর্থনীতির করোনাকালীন বিপত্তির মধ্যেও দেশটির রিয়েল এস্টেট খাতের বিদেশি প্রপার্টি ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশিরা ছিল শীর্ষে। 

স্থানীয় ভূমি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় দুবাইয়ে বাংলাদেশি ধনীরাই সবচেয়ে বেশি সম্পদ কিনেছেন।

এদিক থেকে নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, চীন ও জার্মানির মতো দেশগুলোর বাসিন্দাদের পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশিরা।

আরও সংবাদ পড়ুন।

বন্ড লাইসেন্সে রাজস্ব ফাঁকি – ফাঁসলেন ১০ কাস্টমস কর্মকর্তা সহ ১৩ জন

আরও সংবাদ পড়ুন।

উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি – রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

আরও সংবাদ পড়ুন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহার আমেরিকার বাড়ি ক্রোকের আদেশ; শীঘ্রই এমএলএআর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top