একদিন মায়া নদী দেখতে যাব – সাগর চৌধুরী
একদিন মায়া নদী দেখতে যাব!
নদীর কূল ঘেঁষে চলা স্রেতের সাথে
মিতালি করব; ঘাসফুলের অজানা নাম!
গন্ধেমাতাল বাতাস হব; সঙ্গী করে নেব!
সত্যি! দারুণ সে মায়া নদী।
নদীর কূলে আঁচড়ের দাগগুলি; সবসময়
দেখা যায় না। জোয়ার আসছে তো শেষ।
নদীর বুকের পাজরগুলো দেখবে এসো!
পুষ্টিহিনতায় বাচ্চাগুলোর বুকের হাড়
যেমন এক এক করে গুণে নেওয়া যায়।
ভাটার নদী; কঙ্কাল নদী; শুকনো নদী!
উপকূলের সিমানা জুড়ে কতগুলো খাল
ব্লক বাঁধ; ব্রিজ কিংবা কালভার্টের জন্য,
কঙ্কাল নদীর স্রেতের সাথে নিজেকে খোঁজে।
বুনোগাছ লতাপাতায় বাহারি ফুলের মৌ
বহতা নদীর আনন্দের সিমা নাই। আহা নদী!
একদিন মায়া নদী দেখতে যাব!
সাতার কেটে নদী পার হব! হায় নদী!
পাল ও মৌর্য শাষণে বিশাল জলযান চলত
দু’কূল ভাসিয়ে দেওয়া ঢেউ! সেদিনও ছিল।
ভাসিয়ে নেওয়া শতশতবছর আগের তটরেখা
বিশাল জাহাজ; উচু মাস্তুল আগাগোড়া দামীকাঠ।
শত জলযান চাপা পরে আছে বালু আর জলের নীচে!
ডুবুরি হয়ে নয়! ইতিহাস তাই বলে! স্থলে আর জলে।
জলের ইতিহাস জানো? আর নদীর ইতিহাস?
শুনেছি জলের মাঝেই! আবার মাটি না হলে নদী কিভাবে হবে? বহতা নদী। আহা; কি সুন্দর এক নদী।
মায়া নদীতে জেলেরা জাল ফেলত! বড় বড় মাছ।
নদীর পাশে বসবাস কারী মানুষের কাছে সুখ্যাতি অনেক;
শহর থেকে শহরে আর দেশে থেকে বিদেশ নাম ছড়ালো!
নদীর বুকের ভেতর অযত্নে পরা বালুচর পলি জমে জমে। নিশ্বাস নেবার আগে একবার ভাবো গাছ কাটছো কেন?
ভাটার টানে ক্লান্ত ধারা। জোয়ারে কূল ভাসিয়ে দেয়।
রুপালি নদী; ও নদী। তোর প্রেমে ডুবলো কত মাল্লামাঝি।
একদিন মায়া নদী দেখতে যাব!
রুপের কারুকাজ; শিল্পের সেরা শিল্পী নকশা একেছে নদী
শুধু আঁকাবাকা নয় বা সরুকোন চলমান জলধারা নয়।
একেবারে ভিন্ন এক জগতের গল্পে বলা আকাশের খামে
নদীর বুকের চিত্র ফুলে ওঠে আয়নার মত ঝকঝকে
আকাশের চাঁদ জেগে থাকে, নদীর বুকের উপর ঢেউ খেলে যায়! রুপালী নদীর বুকে চাঁদের হাসি দোল খায়।