খুলনা দিবস আজ – খুলনা বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর

Picsart_22-04-25_23-27-31-329.jpg

” আজ খুলনা দিবস ”

খুলনা (KHULNA) বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। খুলনা জেলা এবং খুলনা বিভাগের সদর দপ্তর এই খুলনা শহরে অবস্থিত। খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা, ভৈরব এবং ময়ুর নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রাচীনতম নদী বন্দরগুলোর মধ্যে খুলনা অন্যতম।

ইতিহাস সুত্রে জানা যায়, ভৈরবের অপরপাশে সেনহাটিতে প্রথম খুলনার জনবসতি গড়ে উঠে। ১৭৮১ সনে তা থানায় রুপান্তর হয়, যার নাম দেওয়া হয় “নয়াবাদ”। ১৭৮৬ সনে তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী নিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ টিলম্যান হেঙ্কেল এর সুপারিশে যশোরকে জেলায় রুপান্তরিত করা হয় এবং খুলনা ছিল এ জেলার অন্যতম থানা। ১৮৪২ সনে খুলনা মহকুমায় রুপ লাভ করে। খুলনা অবিভক্ত বাংলার প্রথম মহকুমা। মহকুমার পরিধি বর্তমান খুলনা ও বাগেরহাট জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। প্রথম মহকুমার ম্যাজিষ্ট্রেট হন এইচ, এস, শ্ এবং এটাই প্রত্যক্ষ ইংরেজ শাসনের সুত্রপাত হয়।

১৮৪৫ সনে প্রথম মহকুমার ভবন নির্মান করা হয় যা বর্তমানের জেলা প্রশাসকের বাসভবন। ১৮৬৩ সনে বাগেরহাটে স্বতন্ত্র মহকুমার গোড়াপত্তন হয়। এ অঞ্চলে কৃষি আবাদ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সম্পদ রক্ষার দরুন ১৮৮২ সনের ২৫শে এপ্রিল সরকারী বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী খুলনা জেলার জন্ম হয়। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা মহকুমা নিয়ে ঐ বৎসর ১লা জুন নতুন এ জেলার কাজ শুরু হয়। প্রথম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ডব্লুউ এন ক্লে, যার নামানুসারেই বর্তমান শহরে ক্লে রোড রয়েছে।

১৮৮৪ সালে খুলনা পৌরসভা গঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর কলকাতা বন্দরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় নতুন বন্দরের প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষিতে বর্তমান খুলনা শহরের অদূরে চালনা বন্দর নির্মাণ করা হয় এবং ভৈরব নদীর তীরবর্তী খালিশপুর গ্রামে বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠতে থাকে। বন্দর ও শিল্প কারখানাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে থাকে নতুন শহর। নির্মিত হয় আধুনিক আইল্যান্ড, নিয়ন বাতিতে সজ্জিত রাজপথ ও জনপথ। এভাবেই খুলনা শিল্প নগরীর দিকে অগ্রযাত্রা শুরু করে।
১৯৬১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণরের এক অর্ডিন্যান্সে খুলনার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে খুলনা উন্নয়ন সংস্থা তথা কেডিএ এর জন্ম হয়। একই বছর আরও একটি ঘটনা খুলনার ইতিহাসকে নতুন মাত্রা যোগ করে তাহলো খুলনাকে বিভাগ ঘোষণা। খুলনার নূরনগর স্থানে বিভাগীয় সদরদপ্তর স্থাপন করা হয়।

খুলনার অতীত ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে অতীত ও বর্তমানের সমন্বয়ের মাধ্যমে আগামী খুলনার সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ২০০৯ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিনে খুলনা দিবস পালিত হয়।

খুলনার ইতিহাস-ঐতিহ্য গৌরব মন্ডিত। খুলনা নামকরণের উৎপত্তি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত মতগুলো হচ্ছে- ধনপতি সওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী খুলনার নামে নির্মিত ‘খুলনেশ্বরী মন্দির’ থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি। এই অঞ্চলের পূর্বে নাম ছিলো জাহানাবাদ।১৭৬৬ সালে ‘ফলমাউথ’ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারকৃত রেকর্ডে লিখিত Culnea শব্দ থেকে খুলনা।অনেক বিজ্ঞজনের মতে ‘কিসমত খুলনা’ মৌজা থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি হয়েছে। বৃটিশ আমলের মানচিত্রে লিখিত Jessore- Culna শব্দ থেকে খুলনা এসেছে বলেও অনেকের ধারণা। তবে কোনটি সত্য তা এখনও গবেষণার বিষয়।

রাজধানী ঢাকা থেকে খুলনা শহরের দূরত্ব আরিচা হয়ে সড়কপথে ৩৩৩ কি.মি. আবার পদ্মা সেতু হয়ে ২১০ কি:মি:। রাজধানী সহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সংগে স্থলপথ, আকাশপথ, জলপথ ব্যবহার করা যায়। ১৮৮৪ সালে কলকাতা থেকে খুলনা পর্যন্ত রেলওয়ে পরিসেবা চালু করা হয় যা ছিল খুলনার প্রথম রেলওয়ে, এই রেলপথ টি খুলনা জংশন রেলওয়ে স্টেশন-এর মাধ্যমে খুলনায় প্রবেশ করে। ১৯১২ সালে থেকে অত্র অঞ্চলে থেকে নদীপথে স্টিমার চলাচল শুরু হয়।

খুলনা বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় খুলনাকে শিল্প নগরী হিসেবে ডাকা হয়। খুলনা শহর থেকে ৪৮ কি.মি. দূরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলা সমুদ্র বন্দর অবস্থিত।

পৃথিবী বিখ্যাত উপকূলীয় বন সুন্দরবন খুলনা জেলার দক্ষিণাংশে অবস্থিত। খুলনাকে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার বলা হয়। সুন্দরবন সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে অখন্ড বন যা বিশ্বে সর্ববৃহৎ। বঙ্গোপসাগরে তীর জুড়ে এই বনভূমি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত। ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে।
সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী’ স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবনের পুরোটাই যেন অজানা রূপ-রহস্য আর রোমাঞ্চে ভরা। বিশ্বের বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনের বাসিন্দা ভয়ঙ্কর সুন্দর বেঙ্গল টাইগার কিংবা বিষধর সাপ শঙ্খচূড়া। আরও আছে জলের বাসিন্দা কুমির, ডলফিন, হাঙ্গর, বিরল প্রজাতির কচ্ছপ ও পাখ-পাখালির দল। সুন্দরবনের গাছের মধ্যে আছে সুন্দরী, গরান, ধুন্ধল, কেওড়া প্রভৃতি।

খুলনা জেলায় মোট ৯ টি উপজেলা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ডুমুরিয়া, ফুলতলা, রুপসা, দিঘলিয়া, তেরোখাদা, বটিয়াঘাটা, দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা। খুলনা মেট্রোপলিটন থানাগুলির মধ্যে – দৌলতপুর, খালিশপুর, খান জাহান আলী, সোনাডাঙ্গা, কোতয়ালী, লবণচরা, আড়ংঘাটা ও হরিণটানা থানা।

গ্রীষ্মকালে খুলনার আবহাওয়া কিছুটা আর্দ্র এবং শীতকালে মনোরম। খুলনার বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬.৩ °সে (৭৯.৩ °ফা) এবং মাসের তাপমাত্রা জানুয়ারীতে ১২.৪ °সে (৫৪.৩ °ফা) এবং মে মাসে ৩৪.৩ °সে (৯৩.৭ °ফা) এর মাঝে থাকে।

খুলনা শহরের দৌলতপুরে ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারী বি. এল কলেজ এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার চাহিদা মিটিয়ে আসছে। ১৯৯১ সালে খুলনাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়। ২০০৩ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় যা পূর্বে বাংলাদেশ ইনিষ্টিটিউট অব টেকনোলজি নামে পরিচিত ছিল। ইতোমধ্যে দৌলতপুর কৃষি কলেজটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। এছাড়া প্রাচীনতম রয়রা মহিলা কলেজ, খুলনা জিলা স্কুল, পাবলিক কলেজ, সেন্ট জোসেফ স্কুল, সেন্ট জেভিয়ারস স্কুল, লায়ন্স স্কুল, আজম খান কমার্স কলেজ, সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ, সরকারি সুন্দরবন কলেজ, খুলনা সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা, সিটি ল্ কলেজ, দৌলতপুর কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ, শাহপুর মধুগ্রাম কলেজ, ডুমুরিয়া কলেজ, শহীদ স্মৃতি মহিলা কলেজ, বঙ্গবন্ধু কলেজ, রুপসা কলেজ, বটিয়াঘাটা কলেজ, দীঘলিয়া কলেজ, ফুলতলা কলেজ, কপিলমুনি কলেজ, পাইকগাছা কলেজ, খুলনা কলেজ, চুকনগর কলেজ, আহসানউল্লাহ কলেজ, পল্লীমঙ্গল বয়েজ ও গার্লস স্কুল, করনেশন গার্লস স্কুল, পাইওনিয়ার কলেজ, পাইওনিয়ার স্কুল, মন্নুজান স্কুল, রোটারি স্কুল, খুলনা কলেজিয়েট স্কুল, ইকবাল নগর গার্লস স্কুলসহ অনেক সরকারি বেসরকারি স্কুল ও কলেজ খুলনার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কারিগরি শিক্ষার জন্য খুলনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, দৌলতপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আদ্ দীন আকিজ মেডিকেল কলেজ, গাজী মেডিকেল কলেজ, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ, নর্দান ইউনিভার্সিটি সহ আরও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বর্তমানে খুলনার মংলা সমুদ্র বন্দর যা কিনা দেশের ২য় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর এবং নোয়াপাড়া নদী বন্দর, দেশের এবং খুলনা বিভাগের সব থেকে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল এবং খুলনার নিজস্ব নদী বন্দরের বদৌলতে এবং পদ্মা সেতুকে ঘিরে খুলনায় একাধিক বড় প্রকল্প হাতে নেওয়ায় খুলনাঞ্চলের অর্থনীতি শিল্প বাণিজ্য বেশ দ্রুত এগোচ্ছে।

প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন খুলনা মহানগরীর ‘বড় বাজার’। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র এটি। এখানে প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ টাকার পণ্য সামগ্রী বেচাকেনা হয়। মূলত বড় বাজারে পাইকারি কেনাবেচাই হয় বেশি। এ অঞ্চলের বিভিন্ন শহর, বন্দর ও ছোট-বড় হাট-বাজারের ব্যবসায়ীরা বড় বাজার থেকে তাদের চাহিদামত মালামাল কিনে থাকেন। এ বাজারে রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় বাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

খুলনা মহানগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদের পাড় ঘেঁষে ভৈরব স্ট্র্যান্ড রোড, কালীবাড়ি রোড, কেডি ঘোষ রোড, ক্লে রোড, জিকজ্যাক রোড, স্যার ইকবাল রোডের একাংশ ও স্টেশন রোড নিয়ে বড় বাজারের বিশাল অবস্থান। এছাড়া জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বহু পুরনো হাট বাজার ও ব্যাবসায়ী মোকাম রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কপিলমুনি বাজার, ডুমুরিয়া বড় বাজার, বারোআড়িয়া বাজার, ফুলতলা বাজার, চালনা বাজুয়া বাজার, জলমা বাজার, উল্লেখযোগ্য।

খুলনায় রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নদী। এখানকার নদীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য – রূপসা নদী, ভৈরব নদ, ময়ুর নদী, শিবসা নদী, পশুর নদী, পশুর নদী, কপোতাক্ষ নদ, নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী, আঠারোবাঁকি নদী, ভদ্রা নদী, বুড়িভদ্রা নদী, শালতা, হামকুড়া নদী, হরি নদী, শৈলমারী নদী, কাজিবাছা নদী, ডাকাতিয়া নদী, শাকবাড়িয়া নদী, কাঁকরী নদী, ঝপঝপিয়া নদী, তেলিগঙ্গা-ঘেংরাইল নদী, অর্পণগাছিয়া নদী, কুঙ্গা নদী, মারজাত নদী, মানকি নদী, বল নদী, নলুয়া নদী, ঘনরাজ নদী।

একসময় খুলনা শিল্পশহর হিসাবে বিখ্যাত হলেও বর্তমানে এখানকার বেশিরভাগ শিল্পই রুগ্ন। পূর্বে খুলনাতে দেশের একমাত্র নিউজপ্রিন্ট ও হার্ডবোর্ড মিল ছিল যা এখন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খুলনা শিপইয়ার্ড দক্ষতার সাথে উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। তবে খুলনার বেশির ভাগ পাটকলগুলোও একের পর এক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে খুলনার ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসে। তবে শিল্প নগরী খুলনা আবারো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি জুটমিলসহ শিল্প প্রতিষ্ঠান। খুলনা শিপইয়ার্ড লোকসান কাটিয়ে উঠে এখন লাভ করছে। ইতিমধ্যে এখানকার তৈরি যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশ নৌ বাহিনী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া জাহাজ রফতানির জন্য বিদেশের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ড। এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি এখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

বর্তমানে খুলনার উল্লেখযোগ্য শিল্প হল বেসরকারী উদ্যোগে গড়ে ওঠা রপ্তানীযোগ্য মাছ শিল্প। খুলনাকে এক সময় বলা হত রুপালি শহর। এর কারণ এই এলাকাতে প্রচুর পরিমাণ চিংড়ী উৎপাদন করা হত। এখন যদিও কিছুটা কমে গেছে। খুলনা জেলা শহর থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরে পাইকগাছা উপজেলায় ২৮.৭৪ হেক্টর জায়গা নিয়ে লোনাপানি গবেষণা কেন্দ্র অবস্থিত। এ কেন্দ্র হতে কৃত্রিম উপায়ে গলদা চিংড়ির পোনা উৎপাদন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গলদা ও বাগদা চিংড়ি চাষের উন্নততর কলাকৌশল উদ্ভাবন, চিংড়ি চাষীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, বাগদা চিংড়ির প্রাকৃতিক উৎস নিরূপণ এবং উপকূলীয় পরিবেশসহ চিংড়ির পোনা সংগ্রহকালে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি নানাবিধ বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা হচ্ছে।

আপনি যদি খুলনার দৌলতপুরের মহসিন মোড় থেকে শাহপুর হয়ে চুকনগর রাস্তায় চলতে শুরু করেন কিম্বা শলুয়া থেকে রংপুর গ্রামের দিকে ঢুকে পড়েন তাহলে দেখতে থাকবেন রাস্তার দূ’ধার দিয়ে প্রচুর মাছের ঘের, ধান আর চোখ জুড়ানো সবজি ক্ষেত। এখানে উল্লেখযোগ্য মাছ চাষকারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এখানকার ঘেরে সাদা মাছের সাথে চাষ হয় প্রচুর চিংড়ী মাছ। এবং খুলনার রুপসা, পাইকগাছা , দাকোপ, কয়রা, ডুমুরিয়া উপজেলাতে লোনা পানি ঘের দেখা যায় সেখানে প্রচুর পরিমানে বাগদা চিংড়ি হয়; সাথে পারশে, পাতাড়ি, ভেটকি, ভাঙান, দাতনে, টেংরা, বেলে, খরশুনে ইত্যাদি নানা স্বাদের মাছতো রয়েছেই।
খুলনাতে ছোট বড় ৪২ টির বেশি মাছ কোম্পানি আছে। এখান থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়।

খুলনায় তরমুজ চাষের জন্য বিখ্যাত দাকোপের বাজুয়া সহ জেলার বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, কয়রা, রুপসা ও ডুমুরিয়ার বেশ কিছু এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। দেশের সেরা স্বাদের এ তরমুজ রাজধানীসহ বিদেশের বাজারেও বেশ চাহিদা রয়েছে।

খুলনা জেলায় পেশাভিত্তিক লোকজ শিল্পী রয়েছে। এরা তালের পাখা, শোলার খেলনা, বাঁশ ও বেতের পাত্র, মাটির পাত্র, পুতুল ও খেলনা, মাদুর, কাঠের খেলনা ইত্যাদি তৈরি করে থাকে। এগুলো আবার নানা নকশায় শোভিত করে তোলা হয়। এর প্রেক্ষাপটে ফুটে ওঠে। খুলনার মাদুর খুব বিখ্যাত; বিশেষ করে পাতির মাদুর। খুলনা অঞ্চলের ডুমুরিয়া, পাইকগাছার কিছু গ্রামে মৃৎশিল্পের অস্থিত্ব বিদ্যমান। এখানে মাটির টব কলসি হাড়ি পাতিল তৈরি করে কুমোরেরা।
খুলনার ফুলতলা ডুমুরিয়া তে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন শিল্প বিদ্যমান রয়েছে। হস্তশিল্পের মধ্যে বেতের তৈরী একধরনের কার্পেট যা মাটিতে বসার ক্ষেত্রে কিংবা অন্যান্য হরেক কাজে লাগে। নানা কারণে আজকের দিনে খুলনা জেলায় পেশাভিত্তিক লোকজ শিল্পীরা পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। সে সাথে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে এসব ক্ষুদ্র শিল্প ও সংস্কৃতি।

হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলিম আমলের খুলনা জেলায় অনেক পুরাকীর্তি ছিল। কালের বিবর্তনে অনেক কীর্তি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। হিন্দু কীর্তির মধ্যে রয়েছে- নগরীর মহেশ্বরপাশার জোড়া মন্দির, যাতার দোল, পাইকগাছা উপজেলার কপিলেশ্বরী মন্দির, রূপসা উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র পুরুষের বাড়ি ও ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণ ডিহি গ্রামে বিশ্বকবির শ্বশুর বাড়ি প্রভৃতি। কপিলমুনিতে এক সময় অনেক বৌদ্ধ আশ্রম ছিল। এখন তা আর নেই।

মুসলিম পুরাকীর্তির মধ্যে আছে- কয়রা উপজেলার মসজিদ কুঁড়ের মসজিদ, বুড়ো খাঁ, ফতে খাঁর মাজার, মদীনাবাদের প্রাচীন কবর। ডুমুরিয়া উপজেলার আরস নগরের মসজিদ, ডুমুরিয়ার চিংড়া মলমলিয়ার মসজিদ, মাগুরাঘোনার ছালামত খাঁ মাজার। ফুলতলা উপজেলার মিছরী দেওয়ান শাহের মাজার, মুক্তেশ্বরী গ্রামের দীঘি, পাইকগাছা উপজেলার সরল খাঁর দীঘি। তাছাড়া খুলনা মহানগরীর পাশে রয়েছে বুড়ো মৌলভীর দরগা। আরো আছে সুফি খাঁর গড়, খাজা ডাঙ্গার প্রাচীন কবর, মহারাজপুরের কীর্তি, শাকবাড়ের লবণের কারখানা, আলাইপুরের মসজিদ, গোরা ডাকাতের বাড়ি প্রভৃতি।

খুলনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে আছে অনেক কিংবদন্তী। সংগৃহীত কিছুসংখ্যক কিংবদন্তির হচ্ছে- বনবিবি, ভূতের বাড়ি, গোরা ডাকাতের বাড়ি, নদীর নাম রূপসা, মিছরী দেওয়ান শাহ, চাঁদবিবি, সোনার কুমড়ো, গাজীর ঘুটো, দুধ পুকুর, কুদির বটতলা, শ্বেত পাথর, পীর ধরম চাঁদ, আলম শাহ ফকির, মহেশ্বরপাশার জোড় মন্দির, ল্যাটা ফকির প্রভৃতি।

খুলনা জেলা সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। অন্যান্য জেলার মত খুলনা জেলার লোকজ সংস্কৃতিতে বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। তাই এ জেলার গ্রাম-গঞ্জের মানুষের জীবনকে কেন্দ্র করে পেশাভিত্তিক লোকজ সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। খুলনা জেলার পেশাভিত্তিক লোকজ সংস্কৃতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পালকির গান, ওঝার গান, বাওয়ালীদের গান, গাছ কাটার গান, গাড়োয়ানের গান, জেলেদের গান, কবিরাজের গান, ঘোল তৈরীর গান, চুন তৈরীর গান, কুমারের গান, হাবু গান, ধান কাটার গান, ধুয়া গান ইত্যাদি। এছাড়া আছে তালের পাখা, শোলার খেলনা, বাঁশ ও বেতের পাত্র, মাটির পাত্র, পুতুল ও খেলনা, মাদুর, কাঠের খেলনা ইত্যাদি তৈরি কাজে নিয়োজিত পেশার মানুষের দ্বারা গড়ে ওঠা লোকজ সংস্কৃতি।

সুপ্রাচীন কাল থেকেই গ্রাম বাংলায় পালকির প্রচলন ছিল। পালকির ব্যবহার সমগ্র দেশের মতো খুলনাতেও ছিলো। জমিদারদের আট বেহারা/ষোল বেহারায় পালকী এখন অতীত হয়ে আছে। কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে পালকীই ছিল অন্যতম প্রধান বাহন। বিয়ে- সাদীতে পালকী না হলে বিয়ের আমেজই পাওয়া যেতো না। সুপ্রাচীন কাল থেকেই গ্রাম বাংলায় পালকির প্রচলন ছিল। জমিদারদের আট বেহারা/ষোল বেহারায় পালকী এখন অতীত হয়ে আছে। কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে পালকীই ছিল অন্যতম প্রধান বাহন। এছাড়া গরুর গাড়ি, মহিষের গাড়ির প্রচলন ছিলো।

বিয়ে-সাদীতে পালকী না হলে বিয়ের আমেজই পাওয়া যেতো না। কাহাররা বর কনেকে পালকীতে নিয়ে পথে গান গেয়ে বরের গ্রামে প্রবেশ করতো। তখন তারা আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উঠোনের ওপর পালকীতে বর কনেকে নিয়ে গান গায়। আত্মীয়-স্বজন কাহারদের নগদ টাকা বা পিতলের কলসী বা কাসার থালা বাটি উপহার দেয়। এক সময় খুলনা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কাহাররা ঘর ভাড়া করে থাকতো। বিয়ে উপলক্ষে তাদেরকে বায়না দিয়ে আনা হতো। আবার খুলনা জেলার অনেক স্থানে কাহারদের স্থায়ীভাবে বসবাসও ছিল। তবে এখন তারা এ পেশার সাথে জড়িত নেই। পালকির প্রচলন আজ প্রায় হারিয়ে গেছে। সে সাথে পালকির গানও বিলুপ্ত হতে চলেছে।

খুলনার জনপ্রিয় খাবার নারিকেল, মধু, নানা প্রজাতির নদীর মাছ। এখানকার জলবায়ু নারিকেল, সুপারী, খেজুর, তাল, আম, জাম, সফেদা, আতা গাছ, নানা ধরনের শাকসবজি ও বিভিন্ন ফসলের জন্য বেশ উপযোগী। খুলনা গলদা চিংড়ির জন্য অনেক প্রসিদ্ধ। আরও রয়েছে খুলনার ডিলাক্স হোটেলের ফালুদা, হোটেল কস্তুরি, বিরিয়ানী হাউজ, বেশ কয়েকটি অভিজাত ফুড পার্ক, জিরো পয়েন্টে চুই ঝালের মাংসের হোটেল। এছাড়াও ডুমুরিয়া চুকনগরের আব্বাস এর খাসির মাংস, ডুমুরিয়া বাজারের মাহাবুরের হোটেলের কশা মাংস অনেক জনপ্রিয়। খুলনার বিভিন্ন রান্নায় চুইঝাল অন্যতম একটা ঔষধি উপকরণ। এই চুইঝালের রান্না আপনাকে আকৃষ্ট করবেই।

শিল্প কলকারখানা গুলো খালিশপুর, দৌলতপুর এবং ফুলতলায় বেশিরভাগ গড়ে ওঠেছে। খুলনার রাস্তাঘাট মোটামুটি ভাল এবং অনেক প্রশস্ত। এই শহরটি যানজট এর হাতে এখনও পড়েনি। শহরটি দিনদিন আরও পরিচ্ছন্ন হচ্ছে।

মিডিয়া সংবাদপত্রের মধ্যে – দৈনিক পূর্বাঞ্চল, দৈনিক জন্মভূমি, দৈনিক প্রবাহ , দ্যা ডেইলি ট্রিবিউন (ইংরেজি)। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ডিশ ক্যাবল অপারেটর। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্যাবল অপারেটর হলো- ইউ ক্যাবল,খুলনা ভিশন।
বাংলাদেশ বেতার খুলনা ১০৬.৫ এফএম, রেডিও খুলনা ৮৮.৮ এফএম। রেডিও টুডে ৮৯.৬ এফএম।

বর্তমানে খুলনা শহরের তরুনদের মাঝে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ক্রিকেট, ফুটবল এবং ব্যাডমিন্টন। খুলনা বিভাগের খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট দল একটি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট দল। টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ এ খুলনার প্রতিনিধিত্ব করে খুলনা রয়েল বেঙ্গলস। খুলনা আবাহনী ক্লাব খুলনার অন্যতম ফুটবল দল। আধুনিক শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম (প্রাক্তন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম) খুলনার একমাত্র আন্তঃর্জাতিক ক্রীড়া ভেন্যু। এই মাঠকে ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর দেশের সপ্তম টেস্ট ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই মাঠে টেস্ট ক্রিকেট, একদিনের আন্তর্জাতিক এবং আন্তর্জাতিক টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটের আয়োজন করা হয়। খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অন্যান্য খেলার আয়োজন করা হয়।

সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে খুলনা ঐতিহ্যবাহী। অনেক প্রথিতযশা কবি সাহিত্যিক, শিল্পী, নাট্যকার ও বিভিন্ন কলাকুশলীর জন্ম হয়েছে খুলনার মাটিতে। এখানকার জারী সারি, পালাগান, পাল্কিগান, নৌকাগান, বিয়ের গান, কবিগান, যাত্রাপালা ইত্যাদি একসময় খুবই বিখ্যাত ছিল। বর্তমান আধুনিকতার নামে এগুলো হারাতে বসেছে।

খুলনা ঐতিহাসিকভাবে অনেক সমৃদ্ধ। পৃথিবীখ্যাত বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবন খুলনায় অবস্থিত। নদীবন্দর ও শিল্পশহর হিসেবে খুলনা অনেক পরিচিত। বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম বিল বিল ডাকাতিয়া খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা জুড়ে অবস্থিত। এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ জাহাজ নির্মাণ কারখানা খুলনা শিপইয়ার্ড এখানে অবস্থিত।

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে খুলনার ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও উল্লেখযোগ্য। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধে এই অঞ্চলের সংগ্রামী নেতৃবৃন্দের ভূমিকা অপরিসীম। মুক্তিযুদ্ধকালে পৃথিবীর বৃহত্তম বর্বরোচিত গণহত্যা ডুমুরিয়ার চুকনগরে সংঘটিত হয়েছিল। একই দিনে পাকিস্তানি হায়েনারা নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশু সহ নিরীহ পলায়নপর অসহায় প্রায় ১০ হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছিল। এতো বেশি সংখ্যক মানুষকে একসাথে একই স্থানে হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

খুলনার দর্শনীয় স্থান সমূহঃ

খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর
খানজাহান আলী সেতু (রুপসা ব্রিজ), জাহানাবাদ বনবিলাস চিড়িয়াখানা ও শিশু পার্ক, শহীদ হাদিস পার্ক, জাতিসংঘ পার্ক, কবি কৃষ্ণ চন্দ্র ইনস্টিটিউট, দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স, গল্লামারী স্মৃতিসৌধ ও বদ্ধভূমি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর, কুয়েট চত্বর, খুলনা শিপইয়ার্ড, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মাজার, সোনাডাঙ্গা সোলার পার্ক, গল্লামারী লিনিয়ার পার্ক, খালিশপুর ও বয়রা ওয়ান্ডারল্যান্ড, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্বপুরুষের বসতভিটা রুপসার পিঠাভোগ।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বঃ

খান জাহান আলী (রঃ)(বাগেরহাটের হলেও এই বিখ্যাত আউলিয়া খুলনার হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে)
বিজ্ঞানী প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (পাইকগাছা), হরপ্রসাদ শাস্ত্রী – চর্যাপদের আবিষ্কর্তা, নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার, অনুজাচরণ সেন- ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী, লেখক আবুল কালাম শামসুদ্দীন, সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক (ফুলতলা), খান-এ-সবুর (বিতর্কিত রাজনীতিবিদ), সাহিত্যিক আনিস সিদ্দীকী (সাতক্ষীরার দরগাহপুরে নিবাস), ঐতিহাসিক কে, আলী (ডুমুরিয়া), ড: আজরা আলি (ডুমুরিয়া), মাওলানা আহম্মদ আলি (ব্রিটিশ বিরোধী রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক, ডুমুরিয়া), বিপ্লবী চারু চন্দ্র বসু- (ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী বাঙালী, ডুমুরিয়া), প্রখ্যাত কৃষক নেতা বিপ্লবী বিষ্ণু চ্যটার্জী-(ডুমুরিয়া), কৃষক নেতা আব্দুল মজিদ মাষ্টার (ডুমুরিয়া), বিপ্লবী কামাখ্যা রায় চৌধূরী (ডুমুরিয়া), ঔপন্যাসিক কাজী আকরাম হোসেন, মৃণালিনী দেবী (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহধর্মিনী), ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী – প্রখ্যাত ভাস্কর, অতুল সেন- ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী বাঙালী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সাবেক মন্ত্রী সালাউদ্দিন ইউসুফ (ফুলতলা), বিশিষ্ট আইনজ্ঞ গাজী সামছুর রহমান (ডুমুরিয়া), বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃকঃ(অবঃ) এইচ এম এ গাফ্ফার বীরউত্তম (ডুমুরিয়া), বিশিষ্ট গবেষক ও পানি বিশেষজ্ঞ ডঃ আইনুন নিশাত (ডুমুরিয়া), বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এস,কে বাকার (ডুমুরিয়া), সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি (ডুমুরিয়া), চিত্রনায়িকা মৌসুমী, চিত্রনায়িকা পপি, ফুটবলার শেখ সালাহউদ্দিন, আসলাম, রুমি, ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক, মন্জুরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ, জাহানারা আলম, সালমা।

আমার খুলনা, আমাদের খুলনা; আমাদের গর্ব। খুলনা দিবসে খুলনাবাসী হিসেবে সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।

হারুন-অর-রশীদ খান।

(তথ্যসূত্র: যশোর খুলনার ইতিহাস – সতীশ চন্দ্র মিত্র, Wikipedia, Bangladesh Times, khulna govbd, global khulna)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top