মোজাম্মেল হক চৌধুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মধ্য দুপুর তালা; দূর্নীতি ও অনিয়মে অভিযোগ
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দরুন বাজারের পাশে মোজাম্মেল হক চৌধুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় স্কুলের ছাত্র – ছাত্রীদের অভিভাবকগণ। অনিয়ম আর দূর্নীতি দূর্নীতি’র বিষয়ে অভিভাবক বলেন,
মোজাম্মেল হক চৌধুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, তিনি সঠিক সময়ে স্কুলে আসেন না। আসলেও বিভিন্ন ছল ছুতায় স্কুলে বেশিক্ষণ থাকেন না। আছে অর্থনিয়ে বিস্তার অভিযোগ।
স্কুলের টিচারগণ স্কুলের বাচ্চাদের টিউশনি বা প্রাইভেট পড়ার বিনিময়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করার কারণে স্কুলে গিয়ে ছাত্রীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা প্রাইভেট পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রত্যেক স্টুডেন্টের কাছে ৫০০ টাকার নেওয়ার বিষয়ে ছাত্রীরা স্বীকার করেন।
শিক্ষক উজ্জ্বল সহ আরও একাধিক শিক্ষক টাকার বিনিময়ে প্রাইভেট পড়ানোর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, অনেক শিক্ষকই এখানে প্রাইভেট পড়ান।
আজ রবিবার স্কুল খুলে রাখার কথা থাকলেও দুপুরে ১২টার সময়ে স্কুলে উপস্থিত হলে কেন শিক্ষককে পাওয়া যায় নি।
স্কুলের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার কথা থাকলেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় নি। স্কুলের ছাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আজ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় নি।
আজ স্কুল কেন বন্ধ এবং একাধিক অভিযোগ সম্পর্কে জানতে মোজাম্মেল হক চৌধুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, হেলাল উদ্দিন কবিরের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এমনকি সহকারী প্রধান শিক্ষক নকিব চৌধুরীও স্কুলে উপস্থিত ছিলেন না।
স্থানীয় সচেতন মহল অভিযোগ করে বলেন, স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সহ সকলেই জড়িত। স্কুলের লেখা পড়ার মান উন্নয়ন না করে। অনৈতিক ভাবে সরকারের অর্থ লোপাট করছে প্রধান শিক্ষক।
তারা আরও বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে একাদিকবার জানানো হলেও, শিক্ষা অফিসারগন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এদিকে নানা রকম অনিয়ম করেই যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
এই বিষয়ে জানতে বোরহানউদ্দিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায় নি।
আরও সংবাদ পড়ুন।