আন্দোলনের অংশ হিসেবে সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ : মহাসচিব মির্জা ফখরুল
রাজনৈতিক প্রতিবেদকঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তাবিথ আউয়াল এবং দক্ষিণে ইশরাক হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।
আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মেয়র পদে দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর এ কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আমরা মনে করি না। এরপরও আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা মনে করি এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবো, জনগণের কাছে যাওয়ার সুযোগ পাবো। যদিও নির্বাচন কমিশন ও সরকার গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে আমাদের সেই সুযোগ দেয়নি।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না এটা বাস্তবতা। কিন্তু এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেটাকে পাল্টে দিয়ে সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। এই যে সরকার তারা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসা সরকার নয়। এরা সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে না এটা খুবই পরিষ্কার।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রার্থী ইশরাক হোসেনের একটি পরিচয় আছে। তিনি সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। যদিও তিনি একেবারেই নতুন, তারপরও আমরা মনে করছি নতুনদের মধ্যে তার একটি বড় আকর্ষণ প্রভাব থাকবে। একই সঙ্গে তিনি উচ্চশিক্ষিত এবং আপনাদের সঙ্গেও হয়তো তার কথা হয়েছে, আমার মনে হয় আপনারাও তাকে পছন্দ করেছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মনোনয়নপ্রাপ্ত তাবিথ আউয়াল সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ওনি যে যোগ্য প্রার্থী তার প্রমাণ ইতিপূর্বে দিয়েছেন, তাই দলীয়ভাবে মনে করেছি নির্বাচনে তিনি যোগ্য প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে এখন কথা বলতে রুচি হয় না। এই নির্বাচন কমিশন কেমন তা আপনারা অতীতে দেখেছেন এবং নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের কথায় প্রকাশ পেয়েছে। তবুও যেহেতু আমাদের অন্য কোথাও যাওয়ার উপায় নেই এটি একটি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, তাই তাদের অধীনে নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এবং শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।