বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাত কর্মকর্তাকে অনিয়মের অভিযোগ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক
সাগর চৌধুরীঃ আজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম। তাদের বিরুদ্ধে মিশরীয় দুটি বিমান লিজ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
আজ দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার চার কর্মকর্তা হলেন-
১. প্রিন্সিপাল এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, Civil Aviation Authority সাইফুল হক শাহ,
২. এয়ার worthness Consultant, Civil Aviation Authority গোলাম সারওয়ার,
৩. BFCC ম্যানেজার সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া
ও
৪. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
গতকাল ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তারা হলেন-
১. প্রধান প্রকৌশলী, মেনটেইনেন্স- এসএম সিদ্দিক,
২. I & QA এর প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার এসএম হানিফ
এবং
৩. MCC’র প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরী।
গতকাল ফ্লাইট অপারেশন পরিচালক এবং পরিদর্শক দলের টিম লিডার ইশরাত আহমেদ হাজির হননি।
জানা যায়, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে মিশরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং 777-200 ER মডেলের দুটি উড়োজাহাজ দুটি লিজ নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
প্রথম বছর শেষেই দুটির এয়ারক্রাফটেরই ইঞ্জিন বিকল হয়। ইঞ্জিন গুলো প্রায় ১২-১৫ বছরের পুরানো এবং এর উড্ডয়ন যোগ্যতার মেয়াদকাল কম থাকায় ইঞ্জিনগুলো পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়।
উড়োজাহাজ সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও।
এতে পাঁচ বছরে দেশের ক্ষতি হয়েছে ১১শ’ কোটি টাকা। যা একাদশ জাতীয় সংসদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তদন্তে উঠে এসেছে।
স্থায়ী কমিটির পাঠানো প্রতিবেদনের আলোকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
এখানে লীজ চুক্তির এবং দরপত্রের স্পেসিফিকেশনে কোন দুর্বলতা আছে কিনা এগুলোর অনুসন্ধান চলছে।
নতুন করে অধিযাচন পত্র প্রেরণ করা হয়েছে-
• ইজিপ্ট এয়ারের সাথে লীজ চুক্তিটি চেয়ে
• বিমান লীজ সংক্রান্ত প্ল্যানিং এবং মূল্যায়ন
প্রতিবেদন
ইঞ্জিন বিকল এবং এর মেইন্টেনেন্স এর প্রতিবেদন সহ আর্থিক ব্যয় বিবরণী।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জানান, প্রয়োজনে এর সাথে জড়িত অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।