এক পুরুষে আসক্ত বহুনারী;গোপনে ডাকেন মা হওয়ার জন্য
আন্তর্জাতিক প্রতিবেদকঃ ৩০ বছর বয়সেই ৪৭ জনের বাবা। আর কিছুদিনের মধ্যে আরও দশ সন্তানের বাবা হচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে আছে তার এসব সন্তান। মেয়েরা মুখিয়ে থাকেন তার সন্তানের জন্য। এমন ঘটনা মার্কিন তরুণ কাইলের। তবে মেয়েদের সঙ্গে কথা বলে কাইল বুঝেছেন, এঁরা তাঁকে চান স্রেফ সন্তান পাওয়ার আশায়। মা হওয়ার প্রবল ইচ্ছে থেকেই যোগাযোগ করেন কাইলের সঙ্গে।
৪৭টি সন্তানের জন্ম দিতে স্রেফ আট বছর সময় লেগেছে আমেরিকার তরুণ কাইলের। আর এখন তাঁর জনপ্রিয়তা যে হারে বেড়ে চলেছে, তাতে সেঞ্চুরি বড়জোর বছর খানেকের অপেক্ষা!
বয়স সবে ৩০ ছুঁয়েছে। আমেরিকান এই তরুণ জানিয়েছেন, কয়েক মাসের মধ্যে তাঁর আরও ১০টি সন্তান ভূমিষ্ঠ হতে চলেছে। শীঘ্রই ৫৭টি ছেলে-মেয়ের বাবা হবেন তিনি। অঙ্কটি কঠিন হলেও অবাস্তব নয়। কারণ কাইল এক জন স্বেচ্ছা বীর্যদাতা। কোনও স্পার্ম ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত নন তিনি। কাজ করেন ব্যক্তিগত ভাবে। কাইল তাঁর প্রত্যেক সন্তানের মায়েদের চেনেন। এমনকি পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে থাকা তাঁর ৪৭টি সন্তানকেও চেনেন।
তবে সন্তানসুখ পেলেও কাইলের আফশোস, তাঁর ভাগ্যে প্রেম জোটেনি এখনও। বিশেষ মানুষের অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকা কাইলের একটাই দুঃখ, মেয়েরা তাঁর প্রেমে পড়েন না। তা বলে মেয়েরা তাঁর প্রতি আগ্রহী নন, তা নয়। কাইল জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে বরং তাঁর সম্পর্কে আগ্রহ বেড়েইছে মেয়েদের। নেটমাধ্যমে ব্যক্তিগত চ্যাটে প্রায়শই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান তাঁরা। কিন্তু কেউই প্রেমে পড়তে চান না। ডেটেও যেতে চান না। এই মেয়েদের সঙ্গে কথা বলে কাইল বুঝেছেন, এঁরা তাঁকে চান স্রেফ সন্তান পাওয়ার আশায়। মা হওয়ার প্রবল ইচ্ছে থেকেই যোগাযোগ করেন কাইলের সঙ্গে।
কাইল বলেছেন, তিনি তাঁর বীর্য বিনামূল্যে দান করেন। তাঁদেরকেই, যাঁদের প্রয়োজন। কিন্তু তিনি দেখে বিস্মিত হয়েছেন যে, যাঁরা নেটমাধ্যমে তাঁর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অবস্থাপন্ন। ইচ্ছে করলেই স্পার্ম ব্যাঙ্কে যেতে পারতেন। কিন্তু তা না করে কাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
কারণ জানতে চাইলে বলেছেন, তাঁরা চান তাঁর সন্তানেরা তাঁদের আসল বাবাকে চিনুক। যা স্পার্ম ব্যাঙ্কে হলে সম্ভব নয়।
তাতে অবশ্য কাইলের কোনও বাড়তি পাওনা নেই। কিছু দিন আগেই লম্বা বিদেশ সফরে বেরিয়েছিলেন। ওই সফরে বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে নিজের সন্তানদের সঙ্গে দেখাও করেছেন কাইল।
তবু ৪৭ সন্তানের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর অপ্রাপ্তিটুকু রয়েই গিয়েছে এখনও। ইনস্টাগ্রামে গোটা বিশ্বের মা হতে চাওয়া মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর।
অন্তত ১০০০ নারী বীর্য চেয়েছেন তাঁর কাছে। কিন্তু কেউ মন চাননি। এটাই যা দুঃখ কাইলের।