বাংলাদেশ বিমানের সাবেক ১৭ সিবিএ নেতার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

Picsart_22-01-22_17-15-26-293.jpg

বাংলাদেশ বিমানের সাবেক ১৭ সিবিএ নেতার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

আদালত প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি-অনিয়মের ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে ফের অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ৮ (আট) মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন এডভোকেট ফৌজিয়া আক্তার পপি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

গত বছরের ১৫ই সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ সাবেক ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ২০১৪ সালের জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের সিবিএ নেতা মো. মসিকুর রহমান, আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান, মো. রুবেল চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, আবুল কালাম, মো. আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারি, মো. ফিরোজুল ইসলাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার ও মো. আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয় অনুসন্ধানের জন্য দুদক নোটিশ দেন। কিন্তু তারা হাজির হতে অস্বীকার করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের পক্ষে আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি মর্মে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি রিট পিটিশন দায়ের করলে একই বছরের ৩রা ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে দুদকের পদক্ষেপে নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চান।

তিনি আরও জানান, দুদক জানিয়েছে অনুসন্ধান কার্যক্রম সমাপ্ত করেছে।

বলেছিল তাদের বিরুদ্ধে কিছু পাওয়া যায়নি। সেটিকে আমরা আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। কারণ অনুসন্ধানটা তারা সঠিকভাবে করেনি। আদালত সম্পূরক রুল দিয়েছিলেন। অনেকদিন শুনানি হয়েছে। আজকে রায় হয়েছে। আদালত রায়ে বলেছেন, ১৭ নেতার বিষয়ে ইতিপূর্বে দুদক যে অনুসন্ধান করেছে সেটা সঠিক হয়নি। সে কারণে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ৮ মাসের মধ্যে নতুন করে ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং কোনো তথ্য পেলে ব্যবস্থা নিতে। ৮ মাস পরে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। আর মামলাটি চলমান রেখেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top