সাপের স্বভাব কামরানো! আমার স্বভাব জীবন বাঁচানো – সাগর চৌধুরী
মানুষ কত কি করে! তাই নিয়ে কত গল্প! কত কবিতা! প্রেমের টানে মানুষ ঘর ছাড়ে; সংসার ছাড়ে; পরিবার ছাড়ে; কিন্তু আমি দেশ ছাড়তে পারব না। আমার মা মাটি আর দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রেম। এই প্রেম যেদিন থাকবে না সেদিন আমি মৃত।
দেশ প্রেমের উদাহরণ বহু আছে। আমাদের আছে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত জ্বলজ্বলে ইতিহাস। ভাষা আন্দোলনের শহিদের আত্মত্যাগ। স্বাধীনতা যুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ। লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আর মা, বোনদের ইজ্জত বিকিয়ে পেয়েছি গর্বিত স্বাধীনতা।
আমরা স্বাধীন। আমরা মুক্ত। আমরা সুনিল৷
দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে আমার দাদা,স্বাধীনতার পরে দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করেছে আমার বাবা। সব সময়ই কিছু মানুষ দেশ বিরোধী ছিল। কিছু মীরজাফর সব সময়ই পাশে পাশে ছিল। এখনো আছে। আগামীতেও থাকবে। এসব মীরজাফর আর দেশ বিরোধী মানুষের বিপক্ষে, জাতীর কুসন্তানদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর মত শক্তি ও সাহস আমরা রাখি ইনশাআল্লাহ।
গল্প নয় সত্যি, পড়ুনঃ-
“এক ব্যক্তি আগুনের শিখার মধ্যে থেকে একটি সাপকে পুড়তে দেখে সেটিকে আগুন থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি সাপটিকে ধরতে না ধরতেই সাপটি তাকে কামড় দেয় এবং এটি লোকটির যন্ত্রণাদায়ক ব্যথার কারণ হয়। লোকটি তৎক্ষণাৎ সাপটিকে ফেলে দেয় এবং সাপটি আবার জ্বলন্ত শিখায় পড়ে যায়। এই মুহুর্তে লোকটি চারদিকে তাকাতে গিয়ে একটি ধাতব লাঠি খুঁজে পায় ৷ আগুনের শিখা থেকে সাপটিকে বাঁচাতে তিনি লাঠিটি ব্যবহার করেন৷
আরেক জন ব্যক্তি, যিনি ঘটনাটি দেখছিলেন তিনি লোকটির কাছে এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “এই সাপটি আপনাকে কামড়ালো! আপনি কেন তার জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছেন?
লোকটি জবাব দিল “সাপের স্বভাব কামড়ানো, তবে এটি আমার স্বভাব পরিবর্তন করবে না, আর আমার স্বভাব হচ্ছে সাহায্য করা৷”
কারো আঘাতের কারণে আপনার স্বভাবের পরিবর্তন করবেন না। আপনার মনের পবিত্রতাকে হারাবেন না। সাবধানতার সাথে কাজ করতে শিখুন!”
দেশের সম্পদ যারা নষ্ট করছেন, মাটি, পানি, বায়ু। তারা একদিন বুঝবেন। হায় হায় করে কপাল ঠুকবেন। কিন্তু কাজ হবে না। এই জাতির বীর সন্তানেরা আপনাদের কপালে ঝাড়ু পেটা করবে। আপনাদের মুখে থু থু মারবে।
কারণ, কার জন্য আপনি টাকা বানিয়েছেন? কাড়ি কাড়ি টাকার দাপটে আপনি ধারাকে সাড়া করছেন? মনে রাখবেন আপনার পুত্র, আপনার সন্তান, আপনার পরবর্তী বংশধর শুধু আপনার জন্য লজ্জায় মাথা নত করে থাকবে। কারো কাছেই পরিচয় দিবে না আপনার বংশধর তারা। এর কিছু উদাহরণ আপনি আপনার জীবনেও পেয়ে যাবেন। জীবিত অবস্থায় বহুস্থানে আপনি কলঙ্কিত হবেন। উদহারন বহু দিতে পারি! যা আপনি ইতোমধ্যে হয়েছেনও।
মীরজাফরের বংশধর যেমন পরিচয় হীন। স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা রাজাকার। তেমনি আপনিও আপনার পরিচয়ের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবেন। এবার ঠিক করে নিন আপনার পরিচয় কি হবে?
টাকার অহঙ্কারে মানুষকে যা তা বলছেন! যাকে সম্মান করার কথা তাকে অসম্মান করছেন। সরকারের দন্ডনীয় আইন অমান্য করে মাটি,পানি,বায়ু নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন,নিজে লাভবান হয়েছেন, দেশের মানুষের কষ্টের কারণ হয়েছেন, বিরাট বড়লোক হয়েছেন। ভেবেছেন কেউ জানে না। কেউ দেখে নি? হাহাহা। আপনার এই অপরাধের জন্য আপনার সন্তান ও আপনাকে ক্ষমা করবে না।
ফিরে আসি সেই গল্পে, আপনার স্বভাব সাপের মত দংশন করা আর আমার স্বভাব মানুষের তথা প্রানীর জীবন বাচাঁনো।
যদি তা নাইবা হবে, তাহলে নিজের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য এত এত জনকে বলে লাভ কি? সরকারের বড় বড় কর্তাকে ঘুষ কেন দিচ্ছেন? সাংবাদিকের পেছনে কেন ঘুরছেন?
আমি জানি আপনার লজ্জা নাই। কারণ যে স্কুলে লজ্জা শেখায় সেই স্কুলে আপনি ভর্তী হবার যোগ্যতা হারিয়েছেন। যে স্কুলে দেশ প্রেম শেখায় সেখানে আপনি অকৃতকার্য হয়েছেন। যেখানে মা,মাটি আর দেশকে রক্ষার জন্য অতন্দ্র প্রহরী হতে শেখায়, সেখানে আপনি ঘুষ দিয়ে পাশ করতে চাইছেন।
সাগর চৌধুরী
প্রকাশক ও সম্পাদক।
wnews360.com