চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষকের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ

Picsart_22-02-07_17-19-58-742.jpg

চরফ্যাশন উপজেলা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষকের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ

চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ সরকারি বরাদ্দ নয় ছয় করেছেন তিনি। কৃষকদের সঠিক প্রাপ্য দেননি তিনি। সরকার কৃষকদের প্রশিক্ষনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করলেও সেই অর্থ সুকৌশলে আত্মসাৎ করেছেন।

চরফ্যাশন উপজেলার কৃষকগণ গনমাধ্যমে অভিযোগ করেন, সরকারের বরাদ্দ কৃষকদের না দিয়ে বা সরকারের প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় না করে, সরকারী অর্থ নিজে এবং বিভিন্ন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন।

যা সরকারী চাকুরী আইনের পরিপন্থী এবং দুদক আইনে শাস্তি যোগ্য।

চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা গণমাধ্যমকে জানান, এই বছর কৃষকদের জন্য সরকার প্রনোদনার ১১টন মুগডাল ক্রয় করার জন্য কৃষি কর্মকর্তাকে আদেশ দিলে তিনি সরকারী প্রতিষ্ঠান বিএডিসি ( বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) থেকে ক্রয় না করে, নিজে লাভবান হওয়ার জন্য স্থানীয় বাজার থেকে নিম্নমানের এবং কম দামের মুগডাল বীজ ক্রয় করেন। এই ঘটনায় সরকারের অর্থ অত্মসাৎ করার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে। গুনগত মানের দিক থেকে নিম্নমানের বীজ ক্রয়, ১১ টন কেনার কথা থাকলেও পরিমানে তিনি কম ক্রয় করেছেন এবং বিতরণের সময়ও অনিয়ম করেছেন।

সবচেয়ে বেশি গুরুতর অভিযোগ তিনি ও তার লোকেরা সেই বীজ মুগডাল ভোলা থেকে পাচার করে ভোলার বাহিরে পাঠিয়েছেন।

মুঘডাল বীজ ক্রয় বিষয়ে জানতে গণমাধ্যম কর্মীরা যোগাযোগ করেছে বিএডিসি ( বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) এর চৌকস কর্মকর্তা যুগ্ম-পরিচালক মিজান বলেন, আমিও এমন কিছু শুনেছি। কিন্তু সঠিক তথ্য দিতে পারবে ইশরাত জাহান। যিনি ভোলা অফিসে বসেন। ইসরাত জাহানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি, একজন পুরুষকে ফোন ধরিয়ে দেন। তখন পুরুষ কন্ঠ বলেন, আপনি জেলার উপপরিচালক বীজ এর কাছে এই বিষয়ে জানতে পারবেন। মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

ভোলা জেলার জেলার সিনিয়র, জুনিয়র কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা বলেন, ঘটনা সত্য। একজন কৃষি কর্মকর্তা হয়ে তিনি এমন কাজ করতে পারেন না। যা চাকরি বিধান লঙ্গন হয়।

তারা আরও বলেন, সরকার কৃষকদের ট্রেনিং ভাতা বা প্রশিক্ষন ভাতা দিয়েছে। সেই টাকা না দিয়ে তিনি সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

ভোলা জেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসান ওয়ারিসুল কবির বলেন, মুঘডাল ক্রয় নিয়ে সমস্যা হয়েছে। তিনি বাহির থেকেও কিছু ডাল ক্রয় করছেন। যদিও বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) থেকে তার মুঘডাল বীজ ক্রয় বাধ্যতা মুলক ছিল।

ভোলার বাহিরে সেই ডাল পাচার করেছে? এমন প্রশ্নে ভোলা জেলার এই সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এটা আমার জানা নেই।

এদিকে, এর আগেও বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের কাজের অনিয়মের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। বিস্তারিত আসছে….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top