উজিরপুরে অবসরপ্রাপ্ত ভূমি কর্মকর্তার তিন কন্যার বিরুদ্ধে মামলা

উজিরপুরে অবসরপ্রাপ্ত ভূমি কর্মকর্তার তিন কন্যার বিরুদ্ধে মামলা

কাজী আলামিন বুরো প্রতিনিধি বরিশালঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বাহেরঘাট গ্রামের ড্রেজার ব্যাবসা ও নিজ ফসলিজমি ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ দিয়ে ঢাকায় অবস্থানরত তিন নারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন স্থানীয় হারতা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র সুতার। তিন নারীর বিরুদ্ধে মামলা করাতে স্থানীদের মাঝে তিব্রক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বাদী বললেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা প্রত্যহারের দাবি ভুক্তভোগীদের।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানাগেছে, উজিরপুর উপজেলার বাহেরঘাট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ভূমি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক হাওলাদারের মৃতুতে তার সন্তানেরা সম্পত্তির মালিক হয়। পৈতৃকসম্পত্তি থেকে ড্রেজারদিয়ে বালু উত্তোলন ও ব্যাবসা এবং নীজ ফসলিজমি ক্ষতিসাধন করার অভিযোগদিয়ে ঢাকায় অবস্থানরত মোজাম্মেল হক হাওলাদারের তিন মেয়ের আকতারুন নাহার (৪০), শাহানাজ পারভীন(৩৫), শিল্পী আক্তার (৩০) বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন হারতা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র সুতার।

এ ব্যাপারে মোজাম্মেল হক হাওলাদারের মেয়ে আকতারুন নাহার, শাহানাজ পারভীন, শিল্পী আক্তার বলেন, আমাদের জমি হইতে বানিজ্যিক ভাবে ড্রেজার মেশিনদিয়ে বালু উত্তোলন করে আশেপাশের কৃষিজমি বিনষ্ট করার বিষয়টি সত্যনয়। আমার তিন বোন (নারী) ঢাকায় থাকি। আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমারে হয়রানি করেছে হারতা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র সুতার। তাদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে দাবি করেছেন তারা।

এব্যপারে স্থানীয় জল্লা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার সেকেন্দার আলী বলেন, মামলার আসামিরা সবাই ঢাকায় বসবাস করেন। নিজ জমি হইতে বানিজ্যিক ভাবে ড্রেজার মেশিনদিয়ে বালু উত্তোলন করে আশেপাশের কৃষিজমি বিনষ্ট করার বিষয়টি সত্যনয় তাদের বিরুদ্ধে যে মামলাটি দিয়েছে তা আদো সত্য নহে।

এব্যাপারে মামলার বাদি হারতা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র সুতার বলেন, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার কোন আলামত পাওয়া না গেলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলী আর্শাদ বলেন, হারতা ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তার সুরেশ চন্দ্র সুতার একটি লিখিত অভিযোগ দিলে আমারা এজাহার করে কোর্টে প্রেরন করেছি। মামলার তদন্ত চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top