কমিউনিটি ক্লিনিকে মেয়ের ডিউটি করছে মা! সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তদারকি নেই
সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সেবার মান খুবই খারাপ। স্থানীয় কমিনিটি কমিনিটি ক্লিনিকগুলো দিনের পর দিন বন্ধ থাকে। খোলা থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচসিপি(কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার) সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত কর্মস্থলে থাকার কথা থাকলেও তার স্থলে দায়িত্ব পালন করছেন তার মা।
ঘটনাস্থলে আজ রবিবার সকালে উপস্থিত হলেও অফিসে কাউকে পাওয়া যায় নি।
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের হারুনের হাট কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে আজ সকাল ১১ টায় একজন মধ্য বয়স্ক মহিলা অফিস খুলে বসে আছেন। জানতে চাইলে তিনি জানান, একজন কর্মীর মা তিনি। অসহায় মুখে কথা নেই তাঁর। গণমাধ্যম কর্মীর সাথে সবিনয়ে বললেন কিছু। মায়ের জন্য খুব মায়া হলো। মা। আমার ঘরেও মা আছেন। পৃথিবীর সব মা আমার কাছে সম্মানের।
এদিকে,অনেক বুড়ো বয়স্ক মহিলা,পুরুষ এসেছেন তাদের সামান্য কিছু ওষধ নিতে। সেবা প্রার্থীরা কোন রকম সেবা না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। স্থানীয় সাধারণ মানুষ থানা শহরে এসে চিকিৎসা নিতে আরও কষ্ট। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সাধারণ জ্বর, মাথা ব্যাথা এমনি শরির ব্যাথার নিয়ে ক্লিনিকে গেলেও কমিনিটিক্লিনিকের কর্মীদের নির্ধারিত অফিসে পাওয়া যায় না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা তাদের নির্দিষ্ট অফিস ফেলে যার যার পারসোনাল ব্যবসা অথবা রাজনৈতিক দলের লেজুর বৃত্তির সাথে সংপৃক্ত। যা সরকারী চাকুরী আইনের পরিপন্থী। এমন অভিযোগে সিনিয়র অফিসারগন তাদের বিরুদ্ধে সরকারের চাকুরী বিধানমতে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
কিন্তু সাধারণ মানুষের সাথে কি নিদারুণ উপহাস! বড় স্যারদের বাড়িতে মুড়িমুড়কি পাঠিয়ে মাসের পর মাস অফিস না করেও বেতন ভাতা নিয়ে নিচ্ছেন তারা। ভোলা জেলা তথা বোরহানউদ্দিন উপজেলার সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন।
অথচ সরকারী চাকুরীকে প্রবেশ করার সময় তারা লিখিত দিয়েছেন জনগনের সেবা করবেন।
গতকয়েক কয়েক দিন আগেও বিষয়টি জেলার সিনিয়র স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বড় বড় কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তারা শুধরানোর আশ্বাস দিলেও বিশ্বাসের গুড়েবালি, সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় দিনের মত পরিস্কার। কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা তো দিচ্ছেই না বরং গণমাধ্যম কর্মীদের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হয়। রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে ফোন করানো। হুমকি, ধামকি এমননি পরে হত্যার মত হুমকি দিতেও ছাড়েন না তারা।
দিনের পর দিন বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এমনি জেলা কর্মকর্তাকে জানানো হলোও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি। অপর দিকে তিনি নানা অজুহাতে ক্লিনিকগুলো বন্ধ রাখেন। কেন বন্ধ রাখেন?
ক্লিনিকগুলো বন্ধ রাখলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কি লাভ জানতে চায় স্থানীয় ভুক্তভোগীরা!
সরকারী বেতন ভাতা সঠিক সময়ে তুলে নিলেও জনগণকে সঠিক সেবা দিচ্ছেন না, অভিযোগ সেবাভোগী স্থানীয়দের।