কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ! স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত; স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নেই কোন তদারকি!
সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নে স্বাস্থ্য সেবার মান খুবই নাজুক। স্থানীয় কমিনিটি কমিনিটিক্লিনিকগুলো দিনের পর দিন বন্ধ থাকে। ফলে ভোগান্তিতে স্থানীয় সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সাধারণ জ্বর, মাথা ব্যাথা এমনি শরির ব্যাথার নিয়ে ক্লিনিকে গেলেও কমিনিটিক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার সংক্ষেপে যাদের বলে (CHCP)রা নির্ধারিত অফিসে পাওয়া যায় না। সকাল ন’টা থেকে অফিসে উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও তারা অনউপস্থিত থাকেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা তাদের নির্দিষ্ট অফিস ফেলে যার যার পারসোনাল ব্যবসা অথবা রাজনৈতিক দলের লেজুর বৃত্তির সাথে সংপৃক্ত। যা সরকারী চাকুরী আইনের পরিপন্থী। এমন অভিযোগে সিনিয়র কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে সরকারের চাকুরী বিধানমতে শাস্তি দেওয়া ক্ষমতা রাখেন।
কিন্তু সাধারণ মানুষের সাথে কি নিদারুণ উপহাস! বড় স্যারদের বাড়িতে মুড়িমুড়কি পাঠিয়ে মাসের পর মাস অফিস না করেও বেতন ভাতা নিয়ে নিচ্ছেন তারা। ভোলা জেলা তথা বোরহানউদ্দিন উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন। অথচ সরকারী চাকুরীকে প্রবেশ করার সময় তারা লিখিত দিয়েছেন জনগনের সেবা করবেন।
গতকয়েক কয়েক দিন আগেও বিষয়টি জেলার সিনিয়র স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বড় বড় কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তারা শুধরানোর আশ্বাস দিলেও বিশ্বাসের গুড়েবালি, সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় দিনের মত পরিস্কার। কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা তো দিচ্ছেই না বরং গণমাধ্যম কর্মীদের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হয়। রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে ফোন করানো। হুমকি, ধামকি এমননি হত্যার মত হুমকি দিতেও ছাড়েন না।
দিনের পর দিন বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এমনি জেলা কর্মকর্তাকে জানানো হলোও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি। অপর দিকে তিনি নানা অজুহাতে ক্লিনিকগুলো বন্ধ রাখেন। কেন বন্ধ রাখেন?
ক্লিনিকগুলো বন্ধ রাখলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কি লাভ জানতে চায় স্থানীয় ভুক্তভোগীরা! সরকারী বেতন ভাতা সঠিক সময়ে তুলে নিলেও জনগণকে সঠিক সেবা দিচ্ছেন না তারা।