আভিজাত্যের প্রতীক স্টিমারগুলো রক্ষা করবে কে?
দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের এক সময়ের সেরা নির্ভরযোগ্য ও আভিজাত্যের প্রতিক স্টিমার সার্ভিস এখন থেমে থমে চলছে, নিভুনিভু অবস্থা, মৃত প্রায়। দেখার কেউ নেই। আছে শুধু চুরির ভাগিদার।
স্বাধীনতার পর ৪৮ বছরে অনেক কিছুর উন্নততর থেক উন্নততর হয়েছে, দেশ হয়েছে ডাজিটাল, ডিজিটালাইজেশন নিয়ে আসতে পারলেও, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত স্টিমারগুলো কতটা উন্নত বা ডিজিটালাইজেশন হয়েছে তা ভুক্তভোগীরা সহ সকলেই অবহিত আছেন। এগুলো বাংলার ইতিহাসে বিরল।
জরাজীর্ণ এই স্টিমারগুলোর বয়স ১০০ বছরেরও বেশী। যেটুকু ভাল থাকত, তাও চোরের খনিতে ভরপুর কর্মকর্তা, ঠিকাদার আর স্টাফরা। তাহলে ভাল করবে কে?
বছরের পর বছর মেরামতের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাটের এর চিত্রই বলে মনে হয়। প্রতিটি কর্মচারী – কর্মকর্তারা সবই অবগত। কিছু সৎ কর্মচারী – কর্মকর্তা এখনো অবশিষ্ট আছেন। আর তাদের কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা শুনলে মনে হয় এটি একটি দুর্নীতির গ্রস্থ প্রতিষ্টান, আশ্রয় প্রশ্রয়ে আছেন বড় বড় রাঘব বোয়ালরা সহ সরকারী পা চাটা কর্মকর্তারা।
এক সময়ে গাজী, লেপচা, অসট্রিস এর কদর ছিল সবার কাছে, দক্ষিণাঞ্চলের ভ্রমণ ছিল রাজকীয়। অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিতে পরিনত হয়েছে এই নৌ সার্ভিসটি।
বাংলাদেশের নৌপরিবহনের ক্ষেত্রে সবার উন্নতি হলেও বরিশাল – খুলনা অথবা এই নৌরুটের কি কি উন্নতি হয়েছে এর যাত্রিরাই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে।