দু’মাস না যেতেই ভেঙ্গে গেছে নতুন রাস্তা; দেখার কেউ নাই
সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তাটি গত দু-তিন মাস আগেই কাজ শেষ করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তার কাজ অতি নিম্নমানের বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এর আগে স্থানীয়রা বহুবার অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি। একাধিক স্থানীয় মানুষ বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রকৌশলিকে জানানোর পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় নি।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গেলে দেখা যায় ইতোমধ্যে রাস্তার অধিকাংশ স্থানে ফাটল রয়েছে এবং রাস্তা ভেঙ্গে গেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ঠিকাদার সঠিক মালামাল দিয়ে রাস্তা তৈরী করেন নি। রাস্তা তৈরীতে যে ইট, সুরকি ও পিচ ব্যবহার করা হয়েছে তা নিম্নমানের। রাস্তা তৈরী করার সময়ে একাধিক বার উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।
বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রকৌশলী শ্যমল কুমার গাইন বলেন, আমি অফিশিয়াল ট্রেনিংয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাহিরে আছি। আপনি বোরহানউদ্দিন উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জসিমউদদীনের সাথে যোগাযোগ করেন।
উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জসিমউদদীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বড় মানিকা ইউনিয়নের পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তাটির প্রকল্পিত ব্যায় ৯০ লক্ষটাকা। রাস্তাটির দীর্ঘ ১হাজার মিটার। প্রস্থ ১০ ফুট। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হলো “সায়েম এন্টার প্রাইজ”।
তিনি আরও বলেন, রাস্তা ভেঙ্গে গেছে আমরা জানি। বিষয়টি আমাদের সিনিয়র স্যারদের জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
ভোলা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী ইব্রাহীম খলিল বলেন, আমি ইতোমধ্যেই খোঁজ খবর নিয়েছি, স্থানীয়দের অভিযোগ সঠিক। সেইখানের রাস্তা ভেঙ্গে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি যে বিধিমালা আছে আমরা সেই ভাবেই কাজ করব। সায়েম এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানতের টাকা এখনো ফেরত দেওয়া হয় নি। যেখানে রাস্তা ভেঙে গেছে সেখানের রাস্তা মেরামত না করা পর্যন্ত জামানত ফেরত দেওয়া হবে না। এছাড়াও যদি তাদের কাজে নিম্নমানের ইট, সুরকি ও পিচ ব্যবহার করার প্রমান মিলে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সায়েম এন্টার প্রাইজের ঠিকাদার সায়েম মুঠোফোনে বলেন, এমন রাস্তা কাজই করি নি আমরা।