গণমাধ্যমে ভুল ছবি; প্রতিবাদ বরিশাল মেট্টোপলিটনের ডিসি সাউথ মোকতার হোসেনের
সাগর চৌধুরীঃ উপরোক্ত এই ছবির মোকতার হোসেন বিসিএস ২১ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি বরিশাল মেট্টোপলিটনে ডিসি সাউথ হিসেবে কর্মরত আছেন। এর
আগে তিনি ভোলা জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ভোলায় দায়িত্ব পালন করার সময়ে তিনি বিপিএ পদক পেয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশের চৌকস কর্মকর্তা সফলতার সাথে সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন।
কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যমে ভুলক্রমে তাকে ২৪ বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন হিসেবে দেখানো হয়েছে বা হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ পিআর বলছে, একজন পুলিশ কর্মকর্তার অপরাধের বিষয়ে মামলার বিষয়ে অবগত আছেন। কিন্তু মোকতার হোসেন বিসিএস ২১ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি বরিশাল মেট্টোপলিটনে ডিসি সাউথ হিসেবে কর্মরত আছেন।
অপরদিকে, ২৪ বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত মামলা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।
সংবাদে প্রকাশ পায় – বাগেরহাটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে নারী সহকর্মী পুলিশ কর্মকর্তার ধর্ষণ মামলা উত্তরা পূর্ব থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাদীর আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
২৪ বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন
এর আগে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলার আবেদন করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। পরে মামলাটি উত্তরা পূর্ব থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্টের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন। বাদী আগে থেকেই সেখানে কর্মরত থাকায় মিশন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় বিভিন্ন অজুহাতে সহযোগিতার নামে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এসপি। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদীর বাসায় গিয়ে তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। বাদী চাবি ইউনিফর্মের পকেট থেকে আনতে গেলে আসামি পেছন থেকে তাকে জাপ্টে ধরে ধর্ষণ করেন। এরপর এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি হুমকি-ধমকি দেন। ২২ ডিসেম্বর ক্ষমা চেয়ে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মৌখিকভাবে বিবাহ করে বাদীকে আবারও ধর্ষণ করেন। এরপরও আরও কয়েক দফা বাদীকে ধর্ষণ করেন মোক্তার হোসেন।
নিকাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে বাদীকে গ্রহণ করার তাগিদ দিলে মোক্তার হোসেন তার সাথে অশোভন আচরণ করেন। বাদীকে এড়িয়ে যেতে থাকেন। এ অবস্থায় গত ২১ এপ্রিল বাদী মোক্তার হোসেনের রাজারবাগের বাসায় গিয়ে আশ্বাস অনুযায়ী বিয়ের কাবিননামা সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। এতে মোক্তার হোসেন অস্বীকৃতি জানান।
মোক্তার হোসেন, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে বাদীকে মারধর করেন এবং হুমকি-ধামকি দেন।
করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানান বাদী।
গত ১০ আগস্ট বাদী উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে আদালতে মামলার করার জন্য বলে। এ জন্য আদালতে এসে মামলা দায়ের করলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন বাদী।