পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বিশেষ রিপোর্টঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন । বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সাক্ষাৎকালে তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, পরিবেশ সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে আলোচনা করেন।
এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন , অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মোঃ মনিরুজ্জামান, যুগ্ম-সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং কোরিয়ান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি হজুন লি উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে জানান, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ক্লাইমেট ভালনারাবিলিটি ফোরাম এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়াও গ্লোবাল সেন্টার অব এডাপটেশন এর আঞ্চলিক অফিস ঢাকায় স্থাপনের ফলে এবিষয়ক কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। বন্ধুপ্রতিম দুদেশের নিজেদের জাতীয় স্বার্থেই পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় প্রতিবছর ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করছে এবং পরিবেশ দূষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্ল্যানেটরি ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে । সরকারের এসকল উচ্চাভিলাসী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করতে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা চান পরিবেশমন্ত্রী।
বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমঝোতার ভিত্তিতে দু’দেশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে। কারিগরি শিক্ষা, নবায়নযোগ্য জ্বালানী এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া একযোগে কাজ করবে। সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত কপ-২৮ আয়োজনে দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশের সমর্থন দানের বিষয়ে অনুরোধ করেন। এছাড়াও, তিনি আগামী অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিবেশমন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য পরিবেশমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।