ওয়াসিম ইমাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখল করছে

PicsArt_06-14-04.38.54.jpg

সাগর চৌধুরীঃ নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার, সিরাজপুর গ্রামের মৌলবী নুরুল হক সাহেবের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখল করছে ওয়াসিম ইমাম নামের তৃতীয় শ্রেনীর এক কর্মচারী। ওয়াসিম ইমামের বাবা, মৃত পিতা আবু তাহের মোঃ আবদুর শকুর মাতা, মৃত নূরজাহান।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে
স্থানীয় ভাবে প্রভাব বিস্তার করে নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মৃত মোঃ আমানত উল্যাহ সিরাজী নামের জমি জোর জবরদস্তি করে দখল করেন, যে জমির বর্তমান মালিক আমানত উল্যাহ সিরাজীর ছেলে ও মেয়েরা। আমানত উল্যাহ সিরাজী’র সন্তানরা সরকারের গুরুত্বপূর্ন দপ্তরে চাকুরী করেও বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনের দারস্থ হয়েছেন!

আমানত উল্যাহ সিরাজী’র জমির দাগ নং -৩১, ৫০-৩২,৫০-৪৫দাগ নাম্বার ৫০-৩০ খতিয়ান ৬০৬ এই জমি সম্পর্কে আদালতে মামলা রুজু করা আছে। কিন্তু যে সম্পর্কে আদালতে মামলা চলমান আছে সেখানে কোন ক্ষমতা বলে ওয়াসিম ইমাম জমি দখল করে সিমানা পিলার দিয়েছেন? তাহলে কি তিনি আদালত ও মানছেন না!

দেশের আইন কানুন কেমন করে ওয়াসিম ইমামের একার হয়! আদালতের সম্পূর্ণ রায় না দিতেই কিভাবে সেই জমি দখলে যায়? তবে কি প্রধান মন্ত্রীর কার্যালের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব করছে ওয়াসিম ইমাম? জানতে চায় স্থানীয় সচেতন মহল!


কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হক মীর

যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখল করছে ওয়াসিম ইমাম তাই নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হক মীর’রের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি বলেন, আদালতে মামলা চলা কালিন সময়ে কোন জমি দখল করার অবস্থান কারো নাই। তারপরেও যদি কেউ করে তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করব।

জিয়াউল হক মীর আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকারী চাকুরী করে কারো জমি দখল করলে আর সেটা যদি প্রমান হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে সরকারী চাকুরী শৃঙ্খলা বিভাগীয় মামলা হবে।


নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেনে

নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কোন সরকারি কর্মকর্তা ছুটিতে বাড়িতে এসে কারো জমি দখল করতে পারে না। তাছাড়া কোর্টে মামলা চলাকালীন এটা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তারপরও বিষয়টি আপনি আমাকে জানিয়েছেন, আমি কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসিকে ব্যবস্থ গ্রহন করার জন্য বলব।


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চাকুরী করা ওয়াসিম ইমামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফিল্ড অফিসার হিসাবে চাকুরী করছি।

ছুটিতে বাড়িতে এসে অন্যের জমি দখল করছেন? এমন প্রশ্নে তিনি জবাব না দিয়ে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।

আমানত উল্যাহ সিরাজী’র জমির
দাগ নং ৫০-৩১,৫০-৩২,৫০-৪৫দাগ নাম্বার
৫০-৩০ খতিয়ান ৬০৬ এই জমি সম্পর্কে আদালতে মামলা রুজু করা আছে। কিন্তু যে সম্পর্কে আদালতে মামলা চলমান আছে সেখানে কোন ক্ষমতা বলে ওয়াসিম ইমাম জমি দখল করে সিমানা পিলার দিয়েছেন? তাহলে কি তিনি আদালত ও অবমাননা করলেন!

দেশের আইন কানুন কেমন করে ওয়াসিম ইমামের একার হয়! আদালতের সম্পূর্ণ রায় না দিতেই কিভাবে সেই জমি দখলে যায়? তবে কি প্রধান মন্ত্রীর কার্যালের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব করছে ওয়াসিম ইমাম? জানতে চায় স্থানীয় সচেতন মহল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top