দৌলতখানে জয়নগর ইউনিয়নে বেড়িবাঁধে ফাটল – স্থানীয়দের অভিযোগ
সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সেলিম ঘোষের বাড়ির সামনে বেড়িবাঁধে ফাটল ধরেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকদার সঠিক ভাবে বেড়িবাঁধের কাজ না করার কারণেই এই ফাটল দেখা দিয়েছে।
গংগাপুর ইউনিয়ন পরিষদের রিয়াজ চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে বেড়ীবাঁধে বেশ কিছু অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
গংগাপুর ইউনিয়ন পরিষদের রিয়াজ চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, জ্বি। আমি বেড়িবাঁধে ফাটল দেখেছি। এই ফাটল ঠিক করা না হলে আবারও পানির চাপে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে এলাকায় পানি ডুকে মানুষের ভোগান্তির হবে। আপনি সাংবাদিক কে কি বলল সেটা না শুনে যেটা সত্যি সেটাই লিখুন।
“চারপাঁচ দিন আগের সামান্য বৃষ্টিপাতের কারণেই এমন বেহাল দশা, আরও বেশী পানির চাপ হলে বেড়িবাঁধ থাকে কি না আল্লাহ মালুম।” কথাগুলো বলছিলেন, ছুটিতে আসা এক সেনা সদস্য।
জয়নগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনসুর বলেন, আগেই কইছি ঠিকাদারের লোকজনকে, এমন খাড়া করে বেড়িবাঁধ করলে পানিতে বেড়িবাঁধ ছুটে যাবে। কিন্তু মাঝখানে কতগুলো ফাটল দেখেন। তারপর সেলিম ঘোষের বাড়ির সামনে তো বাঁধ ছুটে গেল। আমরা কার কাছে বলব? আমাদের কথা কে শুনবে?
স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করে বলেন, সরকারী টাকায় বেড়িবাঁধ করা হয়েছে। কারো ব্যাক্তিগত টাকায় বেড়িবাঁধ করা হয়নি। ঠিকাদারদের ভাবসাব এমন যে তারা দয়া করে বেড়িবাঁধ করে দিয়েছে।
ভোলা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাবুল আক্তার বলেন, স্থানীয় মানুষজন আমাকে জানিয়েছেন। বেশ বৃষ্টিপাত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীগণ দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। আমি নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানকে বলেছি। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দেশের নদ নদীতে পানি বাড়বে এবং বন্যা হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, ভোলা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের
নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে বেড়ীবাঁধ ফাটলের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভোলা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাবুল আক্তার স্যার আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করব ইনশাআল্লাহ।
বেড়িবাঁধের কাজ বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ড থেকে শুরু হয়ে দৌলতখান উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সেলিম ঘোষের বাড়ির সামনে শেষ হয়েছে।