ভোলায় চিংড়ির রেনুপোনা চোরাকারবারিদের কে রুখবে?

PicsArt_04-19-10.46.19-scaled.jpg

ভোলায় রেনুপোনা চোরাকারবারিদের কে রুখবে?

সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলার সবকটি উপজেলায় ( ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন, মনপুরা ও চরফ্যাশন) ধরছে অবৈধ চিংড়ির রেনুপোনা। দেখার যেন কেউ নেই। দিনে ও রাতের আঁধারে পাচার হয়ে যাচ্ছে আহরণ নিষিদ্ধ নদী ও সাগারের চিংড়ির রেনু পোনা।

ভোলার জেলা প্রশাসন, নৌ-নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নৌপুলিশ, কোষ্টগার্ড কারো যেন কোন দায় বা দায়িত্বের বালাই নেই। এই যেন চোর আর প্রশাসনের একগাটে জল খাবারের মত।

ভোলা জেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ। ভৌগোলিক কারনেই সৃষ্টিকর্তার অসিম কৃপায় মৎস্য উৎপাদনে অনেক জেলার চেয়ে এগিয়ে ভোলা। কিন্তু ভোলা জেলায় মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেনু খুব সহজ লভ্য হওয়ায় বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার রেনু পোনা পাচার হয় ৷ প্রতিনিয়ত অবৈধ চিংড়ির রেনু পোনা চালান হয়ে যাচ্ছে দিনে রাতে।

ভোলা জেলায় অবৈধ চিংড়ির রেনু পোনার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করেছিলাম জেলার দায়িত্বে থাকা কোষ্টগার্ডের সাথে, কিন্তু তাদের কোন নাম্বারেই কথা বলার সুযোগ হয়নি। টিএনটি নাম্বারে কলের পর কল বাজলেও কেউ রিসিভ করেনি। তেমনি মুঠোফোনেও সংযোগ করতে চাইলেও কল রিসিভ করেন নি কোন সদস্য।

জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং জেলার মৎস্য বিভাগ নিচুপ! এদিকে করোনার কারনে লক ডাউন থাকাতে সড়ক পথ রেখে দিনে রাতে নৌপথে পাচার হচ্ছে অবৈধ চিংড়ি রেনু পোনা।

অবৈধ চিংড়ির রেনু পোনার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করেছিলাম ভোলা জেলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, এস এম আজাহারুল ইসলাম এর সাথে, তিনি বলেন, সারাদেশে লকডাউন, এখন অভিযান পরিচালনা করতে হলে আমাদের একার পক্ষে তো সম্ভব না। প্রশাসনের হেল্প নিতে হয়, পুলিশের সহযোগিতার দরকার হয়, সবকিছু মিলিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, এস এম আজাহারুল ইসলাম আরও বলেন, এটা শুধু আমাদের একার দায়িত্ব না, জেলা প্রশাসন, নৌ পুলিশ, কোষ্টগার্ড সহ সরকারের আরও অনেক সংস্থারও দায়িত্ব চিংড়ি রেনু পোনার অবৈধ চালান রোধ করা।

সকলের সহযোগিতা পেলেই আমরা অচীরেই অভিযান পরিচালনা করব।

বছরের এই সময়ে জেলা ও উপজেলাগুলোতে দিনে রাতে আহরন করা হচ্ছে চিংড়ির রেনুপেনা।

ভোলার সচেতন মহল বলছে, বেড়ীবাঁধের কাছে দাঁড়ালে অবৈধ চিংড়ির রেনু ধরার চিত্র দেখা যায়। কিন্তু প্রশাসন ও নৌপুলিশের নাকের ডগায় চিংড়ি আহরন ও বিক্রি করা হচ্ছে। তারা অন্ধের ভূমিকা পারন করছে।

এদিকে ভোলা নৌ পুলিশের ওসি সুজন চন্দ্র পাল বলেন, আমরা বাগদা গলদা রেনু পোনার বিরুদ্ধে সর্বদা সজাগ আছি, রেনু পোনা পাচার হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।

তবে দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করার জন্য কারো যেন মাথাব্যাথা নেই। সরকারের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে পাচার করছে জাতীয় সম্পদ। দেশের সম্পদ রক্ষা করার প্রশাসন সহ সকলকে আহ্বান জানায় ভোলার সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top