‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে – আব্দুর রাজ্জাক
বিশেষ প্রতিবেদকঃ বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ দেশের সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে বলে উল্লেখ করেছেন ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের’ প্রধান উপদেষ্টা ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীন দেশটি পেয়েছি। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলনে-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন মূল সংগঠক ও অবিসংবাদিত নেতা। একই সাথে, বঙ্গবন্ধু ছিলেন কৃষি ও কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধু। বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশের পুনর্গঠনে প্রথমেই গুরুত্ব দেন কৃষি উন্নয়নের কাজে। ডাক দেন সবুজ বিপ্লবের। ফলে, বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ে যেমন আছেন তেমনি বাংলার আকাশে বাতাসে আছেন। এ দেশের সবুজ শ্যামল ভূমির প্রতিটা কণা, শস্যখেতসহ সকলক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি প্রতিকৃতি আমরা দেখতে পাই। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে আমরা বঙ্গবন্ধুকে ফসলের খেতে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্রে তুলে ধরেছি। এটা একটা অসাধারণ শিল্পকর্ম। এর মাধ্যমে দেশের সকল মানুষ সশরীরে বা মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে শস্যখেতে দেখতে পারবেন। আমি মনে করি, এটি দেখে বর্তমান প্রজন্ম ও আগামী প্রজন্মসহ সকলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও চেতনায় অনুপ্রাণিত হবে।
বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও কৃষিমন্ত্রী রবিবার বগুড়ার শেরপুরে বালেন্দা গ্রামে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উল্লেখ্য, বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ১০০ বিঘা আয়তনের ধানখেতে ফুটিয়ে তোলা ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ এখন গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্রে হিসাবে স্বীকৃতির প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ একটি মহাকাব্য। আর এ মহাকাব্যের মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলনে-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন মূল সংগঠক ও অবিসংবাদিত নেতা। তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক। বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ সংগ্রাম-লড়াই এর মধ্য দিয়ে দেশের সাত কোটি মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে একটি জাতি রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে এটা আনন্দের কথা যে, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথেই অগ্রসর হচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর আলোকবর্তিকা তাঁর সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে মর্যাদা ও সম্মানে এক অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতিতে রূপান্তর করবো।
শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, সাবেক মহাপরিচালক মো: হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, পুলিশ সুপার মো: আলী আশরাফ ভূইয়া, ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ জাতীয় পরিষদের সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাগিবুল হাসান ও আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক রাখেন।