নারীদের ব্ল্যাকমেইল করতে বড় কর্মকর্তা সাজতেন তিনি
অপরাধ প্রতিবেদকঃ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করতেন। পোশাকে সবসময়ই বজায় রাখতেন কেতাদুরস্থ ভাব। প্রলোভন দেখিয়ে, বিয়ের আশ্বাসে চলতো ব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা। অবশেষে রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) গণভবন এলাকা থেকে তাদের আটকের পর পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
নারীদের টার্গেট করে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন বুলবুল। সঙ্গে থাকতো সহযোগী মনির। সম্পর্ক গড়ার পর নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করতেন বুলবুল। গ্রেফতার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমনটা স্বীকার করেছেন তিনি। এরইমধ্যে শেরেবাংলা নগর থানায় বুলবুল ও তার সঙ্গী মনিরকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার হারুনুর রশিদ বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা ও এসএসএফের সহকারী পরিচালক হিসেবে পরিচয় দিতেন বুলবুল। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কথা বলেও লোকজনদের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নিতো এ চক্র। পাশাপাশি নারীদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলও করতেন। একেক দিন একেক নারীর সঙ্গে থাকতো তার অ্যাপোয়েন্টমেন্ট।
হারুনুর রশিদ আরও বলেন, একেকদিন একেক ব্র্যান্ডের ঘড়ি ও সানগ্লাস পরতেন বুলবুল। লোকজন ও নারীদের আকৃষ্ট করতে পোশাকে সব সময়ই আভিজাত্য ধরে রাখতেন। তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মিরপুরের পল্লবীতে বুলবুলের ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন দামি ব্র্যান্ডের ২৯টি ঘড়ি, ৩৫টি সানগ্লাস, স্বর্ণালঙ্কার, বেশ কয়েকটি ব্যাংকের চেক বই এবং বিপুল পরিমাণ জমির কাগজপত্র। পাওয়া গেছে অনেকগুলো মোবাইল নাম্বার। সেগুলো তদন্ত করলেও বেরিয়ে আসবে প্রতারণার আরও কৌশল। এ ছাড়া, পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ভিজিটিং কার্ড ও আইডি কার্ডও পাওয়া গেছে তার কাছে।