পুলিশে যুক্ত হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার। আজ
পুলিশ সদর দপ্তরের শাপলা কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ পুলিশ এবং হেলিকপ্টার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
বিশেষ প্রতিনিধিঃ জননিরাপত্তা বিধানে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা আরও বাড়াতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পুলিশের কার্যক্রমে ব্যাপক গতিশীলতা আসবে।
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা এবং নজরদারি বাড়ানোর ক্ষেত্রে পুলিশ আরও দক্ষতার সঙ্গে তাৎক্ষণিক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
হেলিকপ্টার দুটি গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট (জি টু জি) পদ্ধতিতে রাশিয়া থেকে কেনা হচ্ছে। এর জন্য বুধবার বিকালে পুলিশ সদর দপ্তরের শাপলা কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ পুলিশ এবং হেলিকপ্টার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেএসসি রাশিয়ান হেলিকপ্টারসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
পুলিশ প্রধান (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এবং রাশিয়ান হেলিকপ্টারসের মহাপরিচালক আন্দ্রে আই ভোগেনিস্কি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশস্থ রাশিয়ান দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিআইজি (লজিস্টিকস) তওফিক মাহবুব চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং রাশিয়া পরস্পর পরীক্ষিত বন্ধু ও বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, পুরাতন বিদ্যুৎকেন্দ্র সংস্কার, সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে রাশিয়া বিশেষভাবে সহযোগিতা করছে।
সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, প্রথম বারের মতো পুলিশে দুটি হেলিকপ্টার সংযোজনের ফলে জনগণের নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা আসবে।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে হেলিকপ্টার সংযোজনের মধ্য দিয়ে পুলিশের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত এয়ার উইং চালুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। এর ফলে জরুরি অপারেশন পরিচালনায় পুলিশ সদস্যদের পরিবহন, খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রী সরবরাহ এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম সম্পাদনে পুলিশের সক্ষমতা আরও বাড়বে।
রাশিয়ান হেলিকপ্টারসের মহাপরিচালক আন্দ্রে আই ভোগেনিস্কি বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগী রাশিয়া। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশকে হেলিকপ্টার সরবরাহের মাধ্যমে এ সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।