মেঘনা গ্রুপের সাত প্রতিষ্ঠানের গ্রাসে মেঘনা নদী
নদীরক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনে তোলপাড় শিগগিরই অভিযান
বিশেষ প্রতিবেদকঃ মেঘনা নদী দখল করে গড়ে উঠেছে মেঘনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান -বাংলাদেশ প্রতিদিন
নদী ও প্রাকৃতিক জলাধার দখল ও বিনষ্টের বিরুদ্ধে দেশে কঠোর আইন থাকলেও মেঘনা গ্রুপের সাতটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে গ্রাস করে আছে মেঘনা নদী। মেঘনার প্রবাহমান অংশের প্রায় আড়াইশ একর জায়গা দখলে নিয়ে ভারী শিল্প গড়ে তুলেছে মেঘনা গ্রুপ। মেঘনা সেতু সংলগ্ন জনবহুল স্থানে তাদের বিশাল স্থাপনায় নদীর ২৪১ দশমিক ২৭ একর জমি অবৈধ দখল করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ দশমিক ৭৭ একর নদীর জমিতে মূল ভবন নির্মিত হয়েছে। ৫ দশমিক ৫ একর জমিতে নির্মাণ করেছে নিজস্ব রাস্তা। অবৈধভাবে দখল করা এসব জমি এক মাসের মধ্যে উদ্ধার করে নদীর প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নদীরক্ষা কমিশন। এ ছাড়া নদী রক্ষায় ব্যর্থ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করেছে জাতীয় নদী কমিশন। কমিশনের গঠিত ১২ সদস্যের তদন্ত কমিটি দীর্ঘ দুই বছর সরেজমিন তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন গত ১৪ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিয়েছে। এই অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে শিগগিরই অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানা গেছে।
জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. আলাউদ্দিন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে দেওয়া হয়েছে। সেই আলোকে প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে নারায়ণগঞ্জের ডিসি নদীর জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিবেন। মেঘনা নদীর এমন জমি যা আর এস পর্চায় ব্যক্তিমালিকানায় মেঘনা গ্রুপ অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। ওইসব বন্দোবস্ত বহির্ভূত জমি অবিলম্বে উচ্ছেদ ও উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা এলাকায় মেঘনা গ্রুপ প্রবাহমান মেঘনা নদী দখলের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করতে ১২ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। কমিটির সব সদস্য তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তদন্ত কমিটি গঠনের পরে গত ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রথম প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন, হোসেনপুর ইউনিয়ন এবং পিরোজপুর ইউনিয়নের চররমজান, সোনাউল্লাহ, পূর্ব দামেদরদী, পশ্চিম দামেদরদী, দুধঘাটা টেঙ্গরচর, ছয়হিস্যা, নরসুলদী, আষাঢ়িয়ারচর এবং ঝাউচর এলাকায় মেঘনা গ্রুপ মেঘনা নদীর জমি ভরাট করে সাতটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে। নদীর তীর ঘেঁষে মেঘনা গ্রুপ শিল্প বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে যা সোনাগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সভায় কমিটিকে অবহিত করে। এ ছাড়া কমিটির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা পদ্ধতি বিষয়ে সভায় একমত প্রকাশ করে।
তদন্ত কার্যক্রম : ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর তদন্ত কমিটি সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে। উপজেলার ঝাউচর এলাকায় মেঘনা পাল্প ও পেপার মিলস, মেঘনা নদীর মূল ভূমিতে স্থাপিত মেঘনা গ্রুপের শিল্প কারখানা- মেঘনা গ্রুপের সুগার রিফাইনারি কারখানা, মেঘনা সুগার মিল কর্তৃক দূষণ, মেঘনা ফ্রেশ টি কর্তৃক দূষণ, কেমিক্যাল ফ্যাক্টারি, ফ্রেশ সিমেন্ট, দুধঘাটায় বালু ভরাটকরণ মেঘনা নদীর রান্দির খাল এলাকায় অবৈধভাবে দখল করে এসব প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। গত বছর ৯ ডিসেম্বর কমিশনের চেয়ারম্যান আবারও মেঘনা নদী এবং এর শাখা নদীগুলো পরিদর্শন করেন। পরে গত বছর ১২ ডিসেম্বর আবারও ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আ জ ম জাহেদুল ইসলাম প্রাথমিক তথ্যের আলোকে ডিজিটাইজড করে মেঘনা নদীর সীমানা সিএস এবং আরএস নকশার ভিত্তিতে নদীর সীমানা পরিবর্তনের তুলনামূলক চিত্র সভায় তুলে ধরেন। পরে মেঘনা গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভা করে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মেঘনা শাখা নদী মারাখালী নদীর অংশের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের পাড় থেকে নদীর ভিতরে প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত দখল করার অভিযোগ উঠেছে মেঘনা গ্রুপের বিরুদ্ধে। মেঘনা নদীর অন্তত ৩০০ বিঘা জমি দখল করেছে মেঘনা গ্রুপ। দখলকৃত স্থানে ইতিমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে মেঘনা গ্রুপের মালিকানাধীন ফ্রেশ টি, ফ্রেশ সুগার মিলস, পেপার মিলস, কেমিক্যাল ফ্যাক্টারিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান। ভূমি দস্যুতার এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই মেঘনার পারিবারিক প্রতিষ্ঠানগুলোও। গ্রুপের চেয়ারম্যানের ভাগ্নিজামাই বলে পরিচিত আল মোস্তফার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গ্রুপও নদী দখল করে ব্যাগের কারখানা গড়ে তুলেছেন। যা বিগত ২০১০ সাল থেকে ধাপে ধাপে এসব জমি দখল করে নেওয়া হয়। মেঘনা গ্রুপের এমন অবৈধ দখলে ভরাট হওয়ায় সাধারণ গতিপথ হারাতে বসেছে প্রবাহমান মেঘনা। নদী ডাকাতির এমন কর্মকান্ডে অস্তিত্ব সংকটের হুমকিতে আছে আশপাশের নদী সংলগ্ন বিভিন্ন নিচু এলাকা ও চরের জমিগুলো। আনন্দ বাজার এলাকায় মেঘনা নদীর প্রায় ৫০০ ফুট জায়গা দখল করে মাটি ভরাট করেছে মেঘনা গ্রুপ। ফিরোজপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা জৈনপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ১০০ বিঘা জমি গ্রাস করেছে তারা। আষাঢ়িয়ার চর ও ঝাউচর এলাকায় নদীর অধিকাংশ বালু ভরাট করেছে। নদীর প্রায় ৭০০ ফুট দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে মেঘনা গ্রুপ। হাড়িয়া এলাকায় মেঘনা নদীতে অবৈধ স্থাপনা ও জেটি নির্মাণ করে দখল করেছে। মেঘনা নদীর শাখার সরকারি রান্দীর খালে প্রায় ২ কিলোমিটার বালু দিয়ে ভরাটসহ নদীর প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিঘা জমি ভরাট করে চারদিকে সীমনা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। এ ছাড়া ছয়হিস্যা ও দুধঘাটা এলাকায় বালু ভরাট করে শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ চলছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নদী দখল করে নিজের সাম্রাজ্য গড়ার এই মহাযজ্ঞে মেঘনা গ্রুপ সরকারি প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতা পাচ্ছেন। পরিবেশ অধিদফতরের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়, বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী মেঘনা গ্রুপের এই অপকর্মে সহায়তা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের এসব তথ্য বলা হয়েছে।
দখলে নদীর জমি : নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় মেঘনা গ্রুপের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মেঘনা গ্রুপের দাবি, তাদের ১৬টি প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় করেছে। যার সাতটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মেঘনা গ্রুপের জমি ক্রয় করেছে ১১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ এর মধ্যে ৬৬ দশমিক ২৩ একর নদীতে বিলীন হয়েছে। তবে শুনানির সময় যে কাগজপত্র মেঘনা গ্রুপ দাখিল করেছে, তাতে ৯২ দশমিক ৮২ একর জমির তথ্য পেয়েছে গঠিত তদন্ত কমিটি। ১৬টি প্রতিষ্ঠানের নামে জমি কেনার কথা বললেও জেটিতে রয়েছে মেঘনার তিনটি প্রতিষ্ঠান। জেটির জন্য বিআইডব্লিউটিএ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে তাদের দাবি। তবে তিনটি প্রতিষ্ঠান নদীর জমিতে করা হয়েছে। নদীর সঙ্গে লাগোয়া সত্ত্বেও প্লাবনভূমিতে ফোরশোর ও পোর্টলিমিট বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ নির্ধারিত হয়নি। বিআইডব্লিউটিএ থেকে বলা হয়েছে, জেটি দুটি নদীর জমিতে স্থাপন করার কারণে লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। ভূমি অফিসের বক্তব্যে বলা হয়, সিএস রেকর্ড অনুযায়ী মেঘনা গ্রুপের সব জমি নদীর জমি। এখনে আরএস অনুযায়ী ১ দশমিক ৮৬ একর খাস জমি বিভিন্ন ব্যক্তিকে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়। সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত গ্রহণকৃত জমি অন্যের কাছে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারের অকৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত নীতিমালা অনুযায়ী সরকারকে বিক্রয় মূল্যের ২৫ ভাগ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হয়। তা ১ দশমিক ৮৬ একর জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এ নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে।
আইনগত পর্যালোচনা : সিএসভুক্ত নদীর জমি আইনসিদ্ধ কোনো পদ্ধতিতে অন্যরূপ কিছু না হলে তা নদীর জমিই হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রচলতি আইন অনুযায়ী এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে নদীর জমিতে কোনো অবকাঠামো তৈরি করে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। মেঘনা গ্রুপের অধিকাংশ ভবন নদীর মধ্যে এক বা একাধিক জেটি নির্মাণ করে ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতর থেকে মেঘনা গ্রুপের সাতটি প্রতিষ্ঠানের নামে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। নদীর জমিতে কিংবা প্লাবন ভূমিতে স্থাপিত শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। তরল বর্জ্য নদীর পানিতে ফেলেও পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
সুপারিশ : মেঘনা গ্রুপের জমি উদ্ধারের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি ১২টি সুপারিশ করেছে। তাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে নদীর জমি উদ্ধারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিকে মেঘনা গ্রুপের নদী দখল নিয়ে জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়। পরে প্রশাসনও অনেকটা নড়েচড়ে বসেছে। একই সঙ্গে সর্বত্রই আলোচনা হয়েছে মেঘনা গ্রুপের নদী দখলের প্রসঙ্গ। বছরের পর বছর প্রভাব খাটিয়ে মেঘনা গ্রুপ যেভাবে নদী গিলে ফেলেছে তার চিত্র ফুটে উঠেছে জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক এক্ষুনি ব্যবস্থা নিতে না পারলে দখলদারদের কবল থেকে নদী উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে। মেঘনার ক্ষেত্রে এটি আরও কঠিন হবে। কারণ, এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানে মেঘনা নদী দখলকারী মদীনা গ্রুপের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে মেঘনা গ্রুপের দখলকৃত নদীর জায়গা উদ্ধার করা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা জানান, মেঘনা গ্রুপের দখলে থাকা নদীর জায়গা দখলমুক্ত করতে একাধিকবার অভিযান শুরু হলেও মাঝপথে তা আটকে গেছে। এরপর আর সেখানে অভিযান হয়নি। এতে অন্যান্য দখলদাররাও ছাড় পেয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনটি আমরা এখনো পাইনি। তবে গত ২৮ জানুয়ারি জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে সভা হয়েছে। মেঘনা গ্রুপের নদী দখল প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে মদীনা গ্রুপের দখলে থাকা নদী ও নদীর তীরবর্তী সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু মেঘনা গ্রুপের দখলে থাকাই নয় ও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের দখলের তালিকা করে জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে নদীর জায়গা উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।