বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলা – আসামিদের আইনজীবী না থাকায় রিমান্ড শুনানি কাল
জেলা প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলার চার আসামিকে আজ সোমবার আদালতে নেওয়া হয়।
কুষ্টিয়ায় পৌরসভার নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলার আসামি দুই মাদ্রাসা ছাত্রের ১০ দিন এবং দুই শিক্ষকের সাত দিন রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে আজ সোমবার এই রিমান্ড আবেদন করা হয়। আসামিদের আইনজীবী না থাকায় রিমান্ড শুনানি একদিন পিছিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার ধার্য করেন আদালত।
আলোচিত এই মামলার আসামিদের গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়। গতকাল রোববার চারজনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দিন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার জানান, হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে ও গ্রেপ্তার দুই শিক্ষকের দেওয়া সাহসে নাহিদ আর মিঠুন এই কাজ করেছে। কিন্তু এর পেছনে কারা জড়িত রয়েছে, কারো ইন্ধন রয়েছে কি না, থাকলে তাদের খুঁজে বের করতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাই আজ সোমবার আদালতে আসামিদের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
আসামিরা হলেন সরাসরি ভাঙচুরে জড়িত সন্দেহভাজন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গোলাবাড়ি গ্রামের সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলী। তাঁরা কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়ার ইবনে মাসউদ (রা.) মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ও শিক্ষক। শিক্ষক আল আমিনের বাড়ি মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামে আর ইউসুফ আলীর বাড়ি পাবনার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামে।