পাহাড় ও টিলা কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে -পরিবেশ ও বন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন
সাগর চৌধুরীঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। কিন্তু অনেকে সংকীর্ণ ব্যক্তিস্বার্থে পাহাড়, টিলা কর্তন পূর্বক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবেশের স্থায়ীভাবে ক্ষতিসাধন করছে। পরিবেশ সুরক্ষায় এ সকল পাহাড় ও টিলা কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ২০২০-২১ অর্থবছরে রবি মৌসুমে বীজ সহায়তা প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো হাইব্রিড ধান বীজ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, সিলেট, পার্বত্য-চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন অংশ পাহাড়, টিলার কারণে পর্যটন অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এ সকল কার্যকলাপ বন্ধ না করলে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাবে এবং জনগণের ভ্রমণের জায়গাও সংকুচিত হবে। তিনি বলেন, কোটি টাকা ব্যয় করে সুন্দর বাড়ী বা স্থাপনা নির্মাণ করা গেলেও পাহাড়, নদী তৈরি করা যায় না। দেশের মানুষের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে পাহাড় টিলা কর্তন বন্ধ করতে হবে। মন্ত্রী এসময় উপস্থিত কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল ধান চাষের আহবান জানান।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান রুহুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জুড়ী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পরিবেশ মন্ত্রী জুড়ী উপজেলার ৩০০০ কৃষকের মধ্যে ২ কেজি করে বিনামূল্যে বোরো
হাইব্রিড ধান বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি, বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি ও বোরো হাইব্রিড জাতের ধান চাষের আধুনিক প্রযুক্ত সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বীজ সহায়তা প্রণোদনা দেওয়া হয়।