সুমনের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে বোরহানউদ্দিনে মানববন্ধন
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ আজ বুধবার সকালে ভোলা বোরহানউদ্দিন সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজের মেধাবী ছাত্র সুমনকে গুম করে পরে হত্যার ঘটনায় ঘাতকদের ফাঁসি দাবী করে বোরহানউদ্দিনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
হয়।
ভোলা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি বিডিএস বোরহানউদ্দিন শাখার উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তারা বলেন, এ মামলার জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করে রায় কার্যকর করতে হবে।
আটককৃত ঘাতকদের রিমান্ডে এনে কিভাবে হত্যা করেছে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে হবে।
এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। ঘাতকদের ফাঁসি রায় দিতে হবে।
তারা আরোও বলেন, আর যেনো এ ধরনের অপরাধ ঘটতে না পারে এ জন্য প্রশাসনকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
বোরহানউদ্দিন সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজের প্রভাষক এইচ.এম মোস্তফা
কামালের সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধনে বক্তৃতা রাখেন, বোরহানউদ্দিন সরকারি
আব্দুল জব্বার কলেজের প্রভাষক মো. নাসির পাটোয়ারী, ভোলা ডেভেলপমেন্ট
সোসাইটি বিডিএস এর চেয়ারম্যান সলেমান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান নবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন মুন্না, সদর উপজেলা আহবায়ক এইচ আর সুমন, সদস্য সচিব জিএম সানাউল্লা, বোরহানউদ্দিন শাখার আহবায়ক মো. ওবায়েদুল্লা, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুজাহিদুল ইসলাম (শামিম), দৌলতখান শাখার আহবায়ক মো. রিপন, সদস্য সচিব মো. রাসেদ খান প্রমূখ।
মানববন্ধনে নিহত সুমনের বড় ভাই মো. মিলনসহ বিডিএস বোরহানউদ্দিন শাখার সদস্য বৃন্দ, মানবসেবা ফাউন্ডেশন বোরহানউদ্দিন শাখার সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি ম. এনামুল হক জানান, মামলার তদন্তের
কাজ চলছে। মিঠু ইতিমধ্যে বিজ্ঞ আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি
দিয়েছে। মিঠু’র ছোট ভাই রাসেদের ৩ দিনের রিমান্ড কার্যক্রম চলছে।
সোমবার ২২ জুন, সুমনকে ডেকে নিয়ে যাবার দুই দিন পর মাটি খুঁড়ে
তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মোশারেফ মোল্লার সুপারী বাগান হতে সুমনের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সুমন ওই এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী মফিজুল ইসলামের ছেলে। সে উপজেলার সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজের ডিগ্রী তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
গ্রেফতার হওয়া মিঠু পক্ষিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিউদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় বোরহানগঞ্জ বাজারে ওয়ার্কশপের দোকান করে। এছাড়া মিঠুর ছোট ভাই রাসেদ কে আটক করে পুলিশ আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে বিজ্ঞ আদালত।