কবি – শাহানা সিরাজী
হারিয়ে যাওয়া আস্থা আবার কে করবে পূণরোদ্ধার,প্রিয় পৃথিবী? বেলীফুলের মতো শুভ্রতা,সুঘ্রাণ নিয়ে আবার কবে সিথানে দাঁড়াবে শরতের শিশির, কবে জোছনাকে গৃহবন্দী করে মেতে উঠবো জোনাকিমেলায়! পাঁজর ফুঁড়ে উঁকি দেয়া পলাশের রঙিন মৌতাতে কবে ডিগবাজি খাবো,কেউ না জানুক,আমি জানি,মরুতে মোহাম্মদ নিয়ে এসেছিলো সুবার্তা, পুরো পাথুরে পথ,চিকচিকে বালির সাগর হয়ে উঠেছিলো-সুবহি সাদিকের স্নিগ্ধ পরশ, ভোরের সূর্যের অহংকারি আবেশ…
কেউ না জানুক,আমি জানি,চঞ্চল হাঁড়িপাতিল কেন করে ঠোকাঠুকি, কেন এতো উদ্বেল উদাস জানালার সার্সি,হাতের রেখা গুণে দেখি, উজ্জ্বল দাগ কতো দূরে!
শূন্যতার পরিধি বেশি বলেই আকাশ নীল?
মেঘের উচ্চতা কম বলেই বৃষ্টি নামে? এ তরুতল,অরণি,বৃক্ষ, এ মাটি এ পৃত্থি যে তুমি দিয়েছো
সে তুমিই ছেড়েছো হুঙ্কার,দিয়েছো আগুনের জ্বালা, পাথরের আঘাত, মরুর দহন- কেবল তোমারই মুখাপেক্ষী থাকার কতোই না বজ্রপাতভয় দেখিয়েছো-
আমাকে দেখো,কোথাও নেই হুঙ্কার ,নেই আতঙ্কিত শাসনের লৌহদন্ড,কারো কাছেই নেই নতজানু সিজদার আকাঙ্খাঃ নিভৃতে একাগ্রতায় ভালোবেসে ক্রমশ শূন্যতার পরিধি বাড়িয়ে বিলীন পাথুরে ভূমে..
জোর করে ভয় দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারো প্রেম পাবে না; বিজয়িনী আমিই সাগরের নিমজ্জিত তলদেশে শান্ত,স্নিগ্ধ ঘুমে কেমন উজল হয়ে আছি…
না কোন বাণী না কোন নবী
আমি কবি,লিখে যাই সভ্যতার বিনাশের নির্মম ইতিহাস। যে দিন মুখোমুখি দেখা হবে সেদিন হিসাব করবে,পাল্লায় তুলবে, আমি রিসাইকেল হয়ে তোমারই অক্সিজেন- শ্বাস-প্রশ্বাস হবো।
শাহানা সিরাজী
কবি ও সরকারী চাকুরীজীবি