বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শহরে কারফিউ
আন্তর্জাতিক প্রতিবেদকঃ পুলিশের নির্যাতনে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটির ১৬টি অঙ্গরাজ্যের ২৫টি শহরে কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ইলিনয়েস, কেনটাকি, মিনেসোটা, নিউইয়র্ক, ওহিয়ো, ওরেগন, পেনসিলভানিয়া, সাউথ ক্যারোলিনা, টেনেসি, উতাহ, ওয়াশিংটন এবং উসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ২৫টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
গত ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রকাশ্যে রাস্তায় মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরেন জর্জের। এভাবে অন্তত আট মিনিট তাকে মাটিতে চেপে ধরে রাখা হয়।
এরপরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতেন ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েড।
তাকে নির্যাতনের একটি ভিডিও প্রকাশ হতেই তা ভাইরাল হয়ে গেছে। সেখানে দেখা গেছে যে, জর্জ ফ্লয়েড নিঃশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’
এদিকে জর্জের মৃত্যুর পরপরই এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। প্রথম দিকে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও ধীরে ধীরে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। বিক্ষোভ প্রতিবাদ লস অ্যাঞ্জেলস থেকে মিয়ামি, শিকাগো শহরসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে, শনিবার রাতে বিক্ষোভের আড়ালে লস অ্যাঞ্জেলসে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। শহরের বেশ কয়েকটি মার্কেট ও সুপারশপের গেট ভেঙে লুটপাট হয়েছে ব্যাপক, আগুন দেয়া হয়েছে পুলিশের কিয়স্কেও।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনিবার রাত ৮টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয় লস অ্যাঞ্জেলসে। বেভারলি হিলসে রাতভর টহল দিয়েছেন বাড়তি পুলিশ সদস্যরা। এসময় সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান শহরের মেয়র লেস্টার ফ্রায়েডম্যান।
লস অ্যাঞ্জেলসের পুলিশ প্রধান মিশেল মুর বলেছেন, তিনি মানুষের রাগ ও হতাশা বুঝতে পারছেন। তা সত্ত্বেও শহরের নিরাপত্তা বজায় রাখতে সবধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।