ভোলায় চাল চুরির আসামিকে মুক্তি; কোর্টে ইউএনও-ওসির বিরুদ্ধে মামলা

PicsArt_04-17-07.22.32.jpg

ভোলায় চাল চুরির আসামিকে মুক্তি; কোর্টে ইউএনও-ওসির বিরুদ্ধে মামলা

জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরাহানউদ্দিনে সরকারি চাল চুরি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আসামি মুক্তি দেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসির বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলা করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদ আলম।

মামলার আসামিরা হলেন- বোরাহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. বশির উদ্দিন গাজী ও ওসি এনামুল হক।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানা যায়, ‘করোনা দুর্যোগের পরিস্থিতিতে ত্রাণের চাল আত্মসাৎ ও কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদের ঘটনায় ইউএনও মো. বশির গাজী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় তিনি আসামি আব্দুল মান্নানের নিকট হতে ২৫ হাজার টাকা এবং সেলামতকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি প্রদান করেন।’

বিবরণীতে আরো বলা হয়, ‘বিদ্যমান ঘটনার সংবাদে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এটা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারার (১) ও (২) ধারার অপরাধ, যা স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিচার্য এবং যার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত।’

‘একই সঙ্গে বর্ণিত ঘটনা যদি Penal Code এর ১৮৬০ এর ৩৭৯ ধারা (যার সর্বোচ্চ সাজা ৩ বছর কারাদণ্ড), ৪০৩ ধারা যার (সর্বোচ্চ সাজা ২ বছর কারাদণ্ড), ৪১১ ধারা যার (সর্বোচ্চ সাজা ৩ বছর কারাদণ্ড), ৪১৪ ধারা ( যার সর্বোচ্চ সাজা ৩ বছর কারাদণ্ড) সহ আরো অন্যান্য ধারায় অপরাধ মর্মে গণ্য করা যায়।’

‘একই সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরকারি কর্মচারী হলে এই ত্রাণের চাল দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় মর্মে প্রতীয়মান হয়। দুর্নীতি দমন বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্ত এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিচার্যের অপরাধ।’

‘ভারপ্রাপ্ত ইউএনও বশির গাজী এখতিয়ার বিহীন অর্থদণ্ড আরোপের মাধ্যমে অপরাধীকে দায়মুক্তি প্রদান করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় আইন, ফৌজদারি বিচার কাঠামো ও বর্তমান সরকারের নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করা হয়েছে মর্মে সংবাদ দৃষ্টে প্রতীয়মান হয়। অপরাধের প্রকৃত বিচারের পথ রুদ্ধ করে তাকে নামমাত্র শাস্তি তথা জরিমানা করে দায়মুক্তি দেয়ায় ইউএনওর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুয়ামোট মামলাটি রুজু করে আগামী ২৮ এপ্রিল মোবাইল কোর্ট পরিচালনার যাবতীয় ডকুমেন্ট ও আইনানুগ ব্যাখ্যাসহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদ আলমের কোর্টে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।’

বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও একই নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা নতুন বাজারে মো. ছেলামত নামের এক ব্যবসায়ীর দোকান হতে ৯ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করেন ইউএনও।

সেই অপরাধে মোবাইল কোর্টে ব্যবসায়ী ছেলামতকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আর ছেলামত যার কাছ থেকে চাল ক্রয় করেছেন ডিলার আ. মান্নানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তাদের ছেড়ে দেন।

দেশের অন্যান্য গণমাধ্যমে সাথে wnews360.com নিউজটি প্রকাশ করেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top