বোরহানউদ্দিনে মৎস্য অফিসের মাঝি জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে মা ইলিশ নিধন
বোরহানউদ্দিন মৎস্য অফিসের মাঝি জাহাঙ্গীরের আত্মিয় হাদিস মাঝির নৌকাটি মা ইলিশ নিধন করার সময় স্থানীয় জেলেরা মেঘনা নদীথেকে জালসহ আটক করে বাংলাবাজার লঞ্চঘাটে স্থানীয় মেম্বারের কাছে দেন।
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের সেন্টার বাজার মাছ ঘাট এলাকায় মৎস্য অফিসের অভিযানের মাঝি মোঃ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ নিধনের মহোৎসব চলছে।
নৌকা প্রতি দৈনিক ২ হাজার টাক করে নিয়ে তিনি মাছ ধরার অনুমতি দেন। এমন অভিযোগ স্থানীয় জেলেদের। আর টাকা না দিলে তিনি মৎস্য অভিযানের সময় ওই জেলেদেরকে ধরিয়ে দেন।
বুধবার রাতে জাহাঙ্গীরের এক আত্মিয় একটি ট্রলা নিয়ে নদীতে মাছ সিকার করতে যায়। স্থানীয় জেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীরের আত্মিয়র নৌকাটি নদীতে মাছ সিকার করা অবস্থায় আটক করে বাংলা বাজার মাছ ঘাটে নিয়ে আসেন। পরে তারা বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বড় মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন হায়দারকে জানান।
চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন হায়দার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ও পুরো ঘটনাটি শুনে নৌকাটি স্থানীয় মেম্বার মোঃ আনিসুল হকের জিম্মায় রাখেন। পরে মৎস্য অফিসারের মাঝি জাহাঙ্গীর স্থানীয় জেলেদেরকে হুমকি দেন। স্থানীয় জেলেদেরকে সাংবাদিকদের সামনেও হুমকি দেন মৎস্য অফিসের মাঝি জাহাঙ্গীর।
এসময় সাংবাদিকদের সামনে জাহাঙ্গীর মাঝি বলেন, আমি এই এলাকার মৎস্য অফিসের সরকারি মাঝি , নদীতে কোন নৌকা ধরতে হলে আমার অনুমতি লাগবে।
তিনি আরো বলেন, আমার অনুমতি ছারা অভিযানের সময় নৌকা ধরলে সেটা ডাকাতি বলে চালিয়ে দিব। আমার এলাকায় আমি ছাড়া কোন লোক অভিযানের সময় নৌকা ধরতে পরবেনা। স্থানীয় কামাল মাঝি বলেন , আমার কাছ থেকে জাহাঙ্গীর মাঝি ২ হাজার টাকা করে নিয়ে আমাকে নদীতে মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছেন। আমি ৪ দিনে মোট ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করি। এসময় শতাধিক জেলে অভিযোগ করে বলেন, আমরা অভিযান পালন করি। কিন্তু জাহাঙ্গীর মাঝি ১৫-১৬ জন জেলেদের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে নিয়ে মাছ ধরার সুযোগ করে দেয়।
আজ আমরা জাহাঙ্গীরের এক আত্মিয় হাদিস মাঝির নৌকাটি নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় জালসহ ধরে মেম্বারের কাছে দিয়েছি। আমরা শত-শত জেলে মা ইলিশের অভিযান পালন করছি। আর জাহাঙ্গীর মাঝি কিছু জেলেদের কাছ থেকে নগদ ২ হাজার টাকা করে নিয়ে অভিযান চলার সময় মাছ ধরাচ্ছেন। আমরা জসিম চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েছি।
এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল সালেহীনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেন নি।