এবারে সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্ত হবে: আইএসপিআর
কক্সবাজারের টেকনাফে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় গ্রহণকারী এক কিশোরীকে সেনা সদস্যদের ধর্ষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে সেনা সদর দফতর। তারা জানিয়েছে, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে টহলরত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে। সেনা সদর দফতর জানিয়েছে, এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সেনাবাহিনী একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্য এই কিশোরী। তার জন্ম বাংলাদেশে। কিশোরীর পরিবার নয়াপাড়ার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় ভাই বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের তিন সদস্য কিশোরীকে তার ঘরের ভেতরে ধর্ষণ করে। মেয়েটি এখন অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। তার আরও চিকিৎসা প্রয়োজন। তারা আতঙ্কে আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ঘটনার পর ভুক্তভোগী কিশোরীকে প্রথমে শরণার্থী শিবিরের চিকিৎসাকেন্দ্র এবং পরবর্তীতে কক্সবাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়ছিল। তবে আতঙ্কের কারণে তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘যেহেতু এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ এবং মামলা হয়েছে, সেজন্য এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। আমাদের নলেজে বিষয়টি আছে এবং আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’