ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়-সা. সম্পাদক লেখক

PicsArt_09-15-12.11.00.jpg

ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়-সা. সম্পাদক লেখক।

ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং গোলাম রাব্বানীকে। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে। একইসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের জানান, শোভন-রাব্বানীকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

এসময় তিনি আরও জানান, আগামী  ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং নানা সূত্রে খবর নিয়ে একই বছরের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি চূড়ান্ত করেন, যা ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কিন্তু, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রায় এক বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ হন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দিলে কমিটি ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলে তৎপরতা শুরু করেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বি এম মোজাম্মেল হককে ছাত্রলীগকে পরামর্শ দেয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়। অবশেষে এ বছরের ১৩ মে ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ। তবে এই কমিটি নিয়েও ছিল বিস্তর অভিযোগ। ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশীদের একাংশ এই কমিটির বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতে আন্দোলন ও অনশন কর্মসূচি পালন করে।

এই কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, নিজেদের অনুষ্ঠানে মূল সংগঠনের নেতাদের আমন্ত্রণ করে তাদের পরে অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কানে পৌঁছায়। এসব অভিযোগে তিনি প্রকাশ্যে দলীয় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এই কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন যা গত ৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিতে শেখ হাসিনার নির্দেশ শিরোনামে প্রকাশিত হয়।

এছাড়াও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই কোটি টাকা চাঁদাবাজির একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তাদের ওপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।

এসব ঘটনার জেরে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top