বন্ড অপব্যবহার রোধে খুবই কঠোর অবস্থানে বর্তমান সরকার – এস এম হুমায়ুন কবীর।

20190915_142516.jpg

বন্ড অপব্যবহার রোধে খুবই কঠোর অবস্থানে বর্তমান সরকার – এস এম হুমায়ুন কবীর।

সাগর চৌধুরীঃ ভারতীয় উপমহাদেশে বন্ড প্রচলন প্রথার সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমল এবং বাংলাদেশ সরকারের সময়ও বন্ড সুবিধা দিয়ে পণ্য আমদানি করা হয়।

বন্ড মানে মুচলেকা। রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ড সুবিধা গ্রহণ করে। বন্ড লাইসেন্স এর আওতায় কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যায় অর্থাৎ রপ্তানি পর্যায়ে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক মওকুফ পাওয়া যায়।

বন্ড এর মূল উদ্দেশ্য হলো রপ্তানি কে উৎসাহিত করা। বন্ড সুবিধায় কাঁচামাল আমদানি করে তা দিয়ে পণ্য উৎপাদন করে রপ্তানি করলে বন্ডের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা হয়। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বন্ড লাইসেন্স এর মাধ্যমে অসাধু পথ অবলম্বন করে।

বন্ড সুবিধা নিয়ে আনা মালামাল অপব্যবহার রোধে আটক।

বন্ড সুবিধা নিয়ে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে এনে খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে এতে করে সরকার যেমন একদিকে রাজস্ব হারায় তেমনি দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাজারে সৃষ্টি হয় অসম এক প্রতিযোগিতা যা বৈষম্যও বলা চলে।

এনবিআর প্রধানের নির্দেশে বন্ড অপব্যবহার রোধে কাস্টমস কমিশনার ঢাকা কাজ করে যাচ্ছে।

এস এম হুমায়ুন কবীর কাস্টমস কমিশনার ঢাকা এর কাছে জানতে চাইলে বলেন, বন্ড অপব্যবহার রোধে খুবই কঠোর অবস্থানে বর্তমান সরকার। ইতোমধ্যে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করার কারণে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স চূড়ান্ত বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরে আমরা বন্ড লাইসেন্স সাসপেন্ড করেছি প্রায় অর্ধশতাধিক।

এই প্রতিবেদকের অরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামীতেও আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

চলতি বছরে মোট অভিযানে সংখ্যাঃ

১. নৌটহল, আকস্মিক পরিদর্শন, অবৈধ মজুদস্থলে হানা ১৫৯টি।

২. আটক গাড়ির সংখ্যা ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ৭১ টি

৩. সীলকৃত গুদাম সংখ্যা ৬ টি।

৪. বিভাগীয় মামলার সংখ্যা ১১২ টি।

৫. ফৌজদারী মামলার সংখ্যা সরকারি কাজে বাধাদান এবং আহত করা ১টি।

৬. মামলায় জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ২০১ কোটি ৩৫ লক্ষ।

৬. ইতোমধ্যে আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ ১৬ কোটি ২১ লক্ষ টাকা।

৭.বন্ড লাইসেন্স সাসপেন্ড (অপব্যবহারের অভিযোগ ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে ৩১১ টি

৮. লাইসেন্স চূড়ান্ত বাতিল ৫টি

সহকারী কমিশনার (প্রিভেনটিভ কার্যক্রম) মোঃ আল আমীন বলেন, আমরা বন্ডের অপব্যবহার রোধে কাজ করছি, অনেক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য নিয়েছি। সেগুলোর বিষয়ে আইনঅনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top